—ফাইল চিত্র।
নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে তিক্ত নির্বাচনের সাক্ষী হচ্ছে আমেরিকা। নজিরবিহীন তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন। এ বার মার্কিন মুলুক ভোটগ্রহণের সময় নজিরবিহীন অশান্তিরও আশঙ্কা করছে। বিভিন্ন এলাকায় রিপাবলিকান পার্টির কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন বলে খবর। ভোটগ্রহণ শুরুর আগে শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের তরফ থেকে রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ কিন্তু এ বার তুঙ্গে। ভোটগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট দিনের আগেও বিভিন্ন প্রদেশে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে আমেরিকায়। একে ‘আর্লি ভোট’ বলা হয়। বিভিন্ন প্রদেশে গত কয়েক দিন ধরে আর্লি ভোটারদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে। আমেরিকার ভোটকর্মীরাও এ বারের নির্বাচন সামাল দিতে বেশ নাজেহাল হচ্ছেন বলে বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর।
ট্রাম্প সমর্থকরা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ভোট সামলাতে ময়দানে নেমেছেন এ বার। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই দলের কর্মী-সমর্থকদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রিপাবলিকান প্রার্থীর অভিযোগ, ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে কারচুপি করার চেষ্টা করবে। ভোটগ্রহণে অনিয়ম রুখতে গোটা ভোট প্রক্রিয়ার উপর কড়া নজর রাখতে হবে, দলীয় কর্মীদের এমনই নির্দেশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
আরও পড়ুন: এফবিআইয়ের ক্লিনচিট, ভোটের মুখে স্বস্তিতে হিলারি
গত কয়েক দিনে অতি উৎসাহী ট্রাম্প সমর্থকরা বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের ভয় দেখিয়েছেন বলে খবর। হিলারি ক্লিন্টন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবিরের মধ্যে তা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গোলমাল হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। নির্বাচনের শেষ পর্বে এসে হিলারি শিবির রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানোর একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভোটারদের যে ভয় দেখানো হতে পারে, সে আশঙ্কা মার্কিন প্রশাসনের ছিলই। পেনসিলভ্যানিয়া এবং অ্যারিজোনাতে পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। তাই ওই দুই রাজ্যের প্রশাসন, ইতিমধ্যেই কঠোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ভোটগ্রহণের সময় কোন কোন ধরনের আচরণকে ভীতিপ্রদর্শন হিসেবে গণ্য করা হবে, তাও প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। ভোট প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবে বাধা দেওয়া হলে ১০ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে, হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রশাসনের। এত প্রস্তুতি সত্ত্বেও মঙ্গলবার ভোটগ্রহণে গোলমাল এড়ানো যাচ্ছে না বলে খবর।