ত্রাণের খাবার সংগ্রহে ভিড়। কাঠমান্ডুতে। ছবি: এএফপি।
ভূকম্প বিধ্বস্ত নেপালে ত্রাণকাজ চালাতে এসে ভেঙে পড়া মার্কিন কপ্টারটিতে সওয়ার আট জনেরই দেহ উদ্ধার হল আজ। এ দিনও সাত বার মৃদু কম্পন হয়েছে নেপালে। মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৩৬। বিকেল পাঁচটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের পটনাতেও। কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৭।
গত মঙ্গলবার প্রত্যন্ত ঘোরথালি গ্রামের কাছে নিখোঁজ হয়ে যায় মার্কিন হেলিকপ্টারটি। গত কাল সেটির ভগ্নাবশেষ মেলে কাঠমান্ডু থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে কালিনচক গ্রামের কাছে। অল্প দূরেই মেলে তিন জনের দেহ। শনিবার বাকি পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার হল। নেপাল সেনা জানিয়েছে, দেহগুলি এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছে যে, শনাক্ত করা যাচ্ছে না। নেপাল সেনার মুখপাত্র জগদীশ পোখারেল বলেছেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেহাবশেষ কাঠমান্ডুতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
নেপালের পাশাপাশই এ দিনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও বিহারে মুজফ্ফরপুর, ধুবনি, কিষাণগঞ্জ, পূর্ব চম্পারণ, লক্ষ্মীসরাঅ, মুঙ্গেরের বাসিন্দারাও কম্পন টের পান। রাস্তায় নেমে আসেন তাঁরা। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। ২৫ এপ্রিলের পর ১২ মে ফের বড়সড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় বিহারে। তিন দিন পর ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হওয়ার ঘটনা আবহওয়া বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিরল বলে জানিয়েছে বিহারের হাওয়া অফিস।