রেপটাইল ক্যাফেতে। ছবি: এএফপি
সরীসৃপে ভয় পান! গিরগিটি দেখলেই গা ঘিনঘিন করে! তার প্রতিকার কিন্তু রয়েছে। তবে ভারতে নয়। দেশের বাইরের এক ক্যাফেতে।
আনাচে কানাচে বিড়ালের আনাগোনা, এমন ক্যাফের অভাব নেই কম্বোডিয়ায়। সেগুলিকে 'ক্যাট ক্যাফে' বলা হয়। পোষ্যপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় সেগুলি। সেখান থেকেই সরীসৃপ ও ইগুয়ানাদের নিয়ে ক্যাফে খুলতে অনুপ্রাণিত হন চি রেতি। যাতে গলায় সাপ জড়িয়ে, কোলে ইগুয়ানা নিয়ে সময়টা উপভোগ করতে পারেন মানুষ।
তাঁর কথায়, ‘‘খামোখাই সাপখোপ, গিরগিটিতে ভয় পান মানুষ। ওদের ভুল বোঝেন। চা ও কফি সহযোগে একবার আড্ডা দিয়ে দেখুন। ভয় কেটে যাবে। তখন আমার মতো ওদের ভালবাসতে শিখবেন।’’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ থামুক, চায় ইয়েমেনের নোরানরা
৩২ বছরের চি, ক্যাফে সাজিয়েওছেন মনের মতো করে। দেওয়ালে থরে থরে কাচের বয়াম সাজানো রয়েছে. তাতে আলো জ্বলছে। আর ভিতরে কুণ্ডলি পাকিয়ে শুয়ে আছে নানা রঙ ও আকারের সাপ। এক কোণে একটি বড় আমেরিকান কাকাতুয়াও রয়েছে। খাঁচার ভিতর থেকে নান কথা বলে যাচ্ছে সে।
দেখুন ভিডিয়ো:
তাদের দেখতে টিকিট লাগে না। শুধু এক কাপ চা অর্ডার দিলেই হল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অর্ডার টেবিলে হাজির হবে। সঙ্গে সদ্য বয়াম থেকে বের করা একটি সাপ। চায়ে চুমুক দিতে দিতে তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে পারেন যে কেউ। কাঁধ বেয়ে উঠে গলায় ঝুলে পড়তে পারে সাদা পাইথনও।
আরও পড়ুন:পাঁচ বছরের এই বাচ্চাটি এখন ইন্টারনেট সেনসেশন, কেন জানেন?
সচরাচর এমন ক্যাফে চোখে পড়ে না। দেখা মিললেও অনেকসময় ঢুকতে ইতস্তত করেন মানুষ। তাই ব্যবসা দাঁড় করাতে বেগ পেতে হচ্ছে ক্যাফের মালিক চি-কে। তবে ইদানিং নাকি লোকজনের আনাগোনা একটু বেড়েছে! বিশেষ করে মহিলাদের। গলায় সাপ পেঁচিয়ে নিজস্বী তুলতে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। আরও বেশি লোক টানতে তাইল্যান্ড থেকে বিরল প্রজাতির সরীসৃপ খুঁজে নিয়ে আসছেন চি।
এই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে যেতে হবে কম্বোডিয়া। ছবি: এএফপি
পশু অধিকার নিয়ে যাঁরা সচেতন, তাঁরা যদিও বনের পশুকে বনে রেখে আসার পক্ষে। তবে চি-র যুক্তি, মানুষের লালন পালনে বেড়ে উঠেছে তাঁর ক্যাফের সরীসৃপগুলি। বন্য জীবন যাপন তাদের সইবে না।