নিলুফার রহমানি
নতুন রাজত্বে মহিলাদের প্রতি আরও মানবিক হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তালিবান নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, মহিলারাও স্কুলে এবং কর্মক্ষেত্রে অবাধেই যাতায়াত করতে পারবেন। তবে শরিয়ত আইন মেনে। কিন্তু তালিবান নেতৃত্বের এই প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখা নিয়ে সতর্ক করলেন আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা বায়ুসেনা পাইলট নিলুফার রহমানি।
এখনও আফগানিস্তানে আটকে রহমানির পরিবার। রবিবার তালিবান বাহিনী কাবুল দখলের পর থেকেই পরিবারকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁর রাতের ঘুম উড়েছে। ২০১৩ সাল থেকে রহমানিকেও একাধিক বার খুনের হমকি দিয়েছেন তালিবরা। নিশানা করা হয়েছিল তাঁর পরিবারকে। ২০১৫ সালে আফগানিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন রহমানি। তার পর ২০১৮ সালে আশ্রয় নেন আমেরিকায়।
সংবাদমাধ্যমে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন রহমানি। বলেছেন, কিছু দিনের মধ্যেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসবে তালিবান। স্বমূর্তি ধারণ করবে। আবার পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আবার আমাকে আর আমার পরিবারকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে। ওদের বক্তব্য, আমি ভাল মুসলিম মহিলা নই। আমি নাকি আমার সংস্কৃতি ভুলে গিয়েছি। আমার মরাই উচিত।’’
বোরখা না-পরে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অপরাধে বুধবার এক মহিলাকে রাস্তাতেই খুন করা হয় আফগানিস্তানে। রহমানি বলেন, ‘‘এই যুদ্ধ-ঘোষণা আদতে মহিলাদের বিরুদ্ধে। পুরুষদের বিরুদ্ধে নয়।’’