ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
সাত ‘সুইং স্টেট’-এর সব ক’টিতেই জিতবে তারা, এমনই দাবি করেছিল রিপাবলিকানরা। সাতটির মধ্যে ছ’টিতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই জিতে গিয়েছিলেন। বাকি ছিল একটি। সেটি হল অ্যারিজ়োনা। এই প্রদেশটিও ডেমোক্র্যাটদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলপ্রকাশ সমাপ্ত হল। সাত ‘সুইং স্টেট’-এর মধ্যে আগে যে ছ’টিতে রিপাবলিকানদের জয় এসেছে সেগুলি হল— পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নেভাডা।
‘সুইং স্টেট’গুলি নিয়েই সবচেয়ে বেশি জল্পনা ছিল। কোন দিকে ঝুঁকবে ওই সাতটি প্রদেশ। ডেমোক্র্যাট না রিপাবলিকান। কারণ ২০২০-র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরাই এই সাত প্রদেশেই জিতেছিল। তাই তারা কি আবার তাদের ঝুলিতেই সব উজাড় করে দেবে, তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। যদিও এ বার অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ট্রাম্প ও তাঁর দল। এই সাত প্রদেশ যে তাঁদের দিকেই ঝুঁকবে, ফল বেরোনোর আগে থেকেই তা জোর গলায় দাবি করতে থাকেন রিপাবলিকানরা। এই সাত প্রদেশের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও শেষে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
অ্যারিজ়োনায় জিতে যাওয়ায় মোট ৫৩৮ আসনের মধ্যে ৩১২টি আসন এল রিপাবলিকানদের ঝুলিতে। অন্য দিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা পেয়েছেন ২২৬ আসন। হোয়াইট হাউসে পৌঁছতে ট্রাম্পের দলের দরকার ছিল ২৭০। কিন্তু ৬ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, কমলাকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও সমস্ত বুথফেরত সমীক্ষা কমলা হ্যারিসকেই এগিয়ে রেখেছিলেন। ‘সুইং স্টেট’গুলিতেও ডেমোক্র্যাটদের এগিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই সব সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রিপাবলিকানরা। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, সেই সময় রিপাবলিকানরা পেয়েছিল ৩০৪ আসন।