ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
দিনের আলো বাঁচানোর জন্য ঘড়ির সময় এগিয়ে-পিছিয়ে আনার যে রীতি এত দিন ধরে চলে আসছে, তা বন্ধ করতে চান আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাঁর নিজস্ব সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করে এই কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টি এই প্রথামুছে ফেলতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের মতে, ‘ডে লাইটসেভিং টাইম’ (ডিএসটি)-এর রীতি যথেষ্ট অসুবিধাজনক এবং খরচাবহুলও।’
ট্রাম্পের নতুন জমানায় ফ্লরিডার সেনেটর মার্কো রুবিয়োর মতো কট্টর ডিএসটি-নীতির বিরোধীরা রয়েছেন। মার্কোকে নিজের বিদেশসচিব হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। ইলন মাস্ক এবং বিবেক রামস্বামীও ডিএসটি-র বিরোধী। মাস্ক এবং রামস্বামীর উপরে ট্রাম্প ‘ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি’র ভার ন্যস্ত করেছেন। সরকারের খরচ কমানোর নানা পন্থা বাতলানোর দায়িত্বে রয়েছে এই উপদেষ্টা দফতর।
দিনের আলো সবচেয়ে বেশি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খরচ কমাতে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ দেশে এই ডিএসটি রীতি চালু রয়েছে। ভারতের মতো নিরক্ষীয় দেশে অবশ্য শীত-গ্রীষ্মে সময়ের ব্যবধান তেমন বোঝা যায় না। সময়ের ফারাক থাকে বড়জোর এক থেকে দেড় ঘণ্টা। কিন্তু আমেরিকা বা ইউরোপের বহু দেশে বছরের বিভিন্ন সময়ে দিন শুরু ও শেষের ব্যবধান থাকে অনেকটাই। ফলে ঘড়ির সময় আগুপিছু করে সকাল ও সন্ধে নামার সময় এক রাখার চল রয়েছে।
আমেরিকায় মার্চ থেকে নভেম্বর ডিএসটি এবং নভেম্বর থেকে মার্চ স্থানীয় সময় অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটা আগুপিছু করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জ্বালানি বাঁচাতে সাময়িক ভাবে এই রীতি চালু করা হয়েছিল। ১৯৬৬ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে এ দেশে ডিএসটি রীতি চলে আসছে।
জমানা বদলেছে। সময় বদলেছে। ফলে সময় বদলানোর এই নিয়মের আর প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন ট্রাম্প।