অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের বিরুদ্ধে আবারও ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত থেকে সেশনস সরে দাঁড়ানোয় দিন পাঁচেক আগেই ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘এমনটা জানলে ওঁকে নিয়োগই করতাম না।’’
আর আজ তাঁকে একহাত নিলেন হিলারি ক্লিন্টনের ই-মেল তদন্ত নিয়ে। টুইটারে ট্রাম্প আজ বলেন, প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারির ই-মেল তথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সার্ভার দুর্নীতির তদন্তে এত দিন কিছুই করেননি সেশনস।
এ বার কি তা হলে সেশনসও বাতিলের খাতায়— অ্যাটর্নি জেনারেল নিজে থেকে পদত্যাগের জল্পনা ওড়ালেও প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই। বিশেষত দিন কয়েক আগেই যে হেতু হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিবের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শন স্পাইসার। তার উপর আবার শোনা যাচ্ছে, সেশনসকে ছাঁটতে চেয়ে ট্রাম্প নিজেও নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক প্রস্ত বৈঠক সেরে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: ডোভাল এলেও চিঁড়ে ভিজবে না, হুঁশিয়ারি চিনের
কিন্তু ট্রাম্প হঠাৎ হিলারি-তদন্ত নিয়ে পড়লেন কেন! সেশনস সরে দাঁড়ানোয় রুশ-মার্কিন তদন্তভার এখন প্রাক্তন এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলারের হাতে। এ ক্ষেত্রে তদন্তের ফলাফল নিয়ে তাই ব্যাপক চাপে ট্রাম্প শিবির। প্রেসিডেন্ট ঠিক সেই কারণেই পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে শুরু করেছেন বলে মত অনেকের। ই-মেল দুর্নীতির তদন্তে অবশ্য এর আগে হিলারিকে কার্যত ক্লিনচিট-ই দিয়েছিলেন এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি। সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেই কারণেই পরে তাঁকে ছেঁটে ফেলেন প্রেসিডেন্ট।
আমেরিকার ভোটে মস্কোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ গোড়া থেকেই খারিজ করে আসছেন প্রেসিডেন্ট। তবে আজ তিনি ফের পরোক্ষে হিলারি-শিবিরকে প্রচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, এ নিয়েও গড়িমসি করছেন সেশনস।
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, সেশনসকে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে সরানো হলে তাঁর জায়গায় আসার কথা ডেপুটি এজি রড রোজেনস্টেইনের। কিন্তু তাতেও বিশেষ স্বস্তি আসবে কি— ধন্দে ট্রাম্প শিবির। সংবাদমাধ্যমের একাংশ প্রেসিডেন্টের একদা প্রিয় পাত্র রুডি গিলিয়ানিকেও পরবর্তী এজি হিসেবে ভাবছেন। গিলিয়ানি নিজে অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই দায়িত্ব নিতে তৈরি নন।