তা হলে ‘অহিংসার পূজারি’র নাম নিতে হয় ‘যুদ্ধবাজ’দেরও?
ভোটের লড়াইয়ে নেমে নিজের ভাবমূর্তি উদ্ধারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদ-প্রার্থীকেও ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয় ‘মহাত্মা’র বাণী উদ্ধৃত করতে?
কিন্তু তার পরেও উদ্ধার হয় না।
তাঁর ভাবমূর্তিতে কালি লেগেই যায় মহাত্মা গাঁধীর বাণী ভুল ভাবে উদ্ধৃত করার জন্য!
বিশ্ব যাঁদের চেনে ‘যুদ্ধবাজ’ বলে, সেই মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদ-প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ভাবমূর্তি উদ্ধারে ইনস্টাগ্রামে ‘অহিংসার পূজারি’ মহাত্মার ‘বাণী’ উদ্ধৃত করেছিলেন।
গাঁধীর ‘কথা’ বলে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘‘প্রথমে সকলেই তোমাকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করবে। তার পর তোমাকে দেখে হাসবে। তার পর তোমার সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করবে। আর শেষমেশ তুমিই জিতবে। বাকিরা হারবে।’’ টুইটারে মহাত্মার ‘বাণী’ উদ্ধৃত করে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর অবস্থাটাই আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কী ভাবে তাঁকে ঘরে ও বাইরে প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আর তাঁর রিপাবলিকান পার্টির ‘ঘর-শত্রু’ অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে, সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন- বিপুল ভোটে জয়ী হিলারি
কিন্তু তাতেই ভুলের ফাঁদে পা দিয়েছেন লড়াইয়ে আপাতত, অনেকটাই এগিয়ে থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী।
উইকি-কোট্স জানাচ্ছে, ‘‘অনেকেই ওই কথাগুলিকে মহাত্মা গাঁধীর ‘বাণী’ বলে ব্যবহার করেছেন। করে চলেছেন। কিন্তু তা আদপেই গাঁধীর বাণী নয়।’’
ট্রাম্পকে নিয়ে এর পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে। অনেকেই বলছেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যাঁরা লড়াইয়ে নেমেছেন, তাঁদের তো একটু-আধটু বিদ্যে-বুদ্ধি থাকা উচিত!’’ এক জন তো টুইট করে বলেছেন, ‘‘হিটলার আর মুসোলিনিকে উদ্ধ়ত করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। তাই এ বার গাঁধীকে নিয়ে শুরু করেছেন টানাটানি।’’
আমেরিকার এক নম্বর রাজনৈতিক ওয়েবসাইট ‘দ্য হিল’ লিখেছে, ‘‘গাঁধী কখনওই এমন কথা বলেননি। অথচ, প্রায়ই ওই কথাগুলি আমরা বসিয়ে দিই গাঁধীর মুখে।’’