International News

আইরিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা থামিয়ে মহিলা সাংবাদিকের হাসির প্রশংসা করলেন ট্রাম্প!

সংবাদিকদের ভিড়ে ছিলেন আইরিশ সাংবাদিক কাইট্রিওনা পেরি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন তিনিও। আরটিই নিউজ-এর ওয়াশিংটন করেসপনডেন্ট কাইট্রিওনা ভাবতেও পারেননি এমন অদ্ভুত ভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর এই সাংবাদিক সম্মেলন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ১২:৩৬
Share:

ফোনে কথোপকথন থামিয়ে মহিলা সাংবাদিককে ডেকে তাঁর হাসির প্রশংসা করেন ট্রাম্প। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বসে টেলফোনে আয়ারল্যান্ডের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদরকরকে শুভেচ্ছাবার্তা জানাচ্ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ভারতীয় বংশোদ্ভূত লিও আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী। ঐতিহাসিক কথোপকথনের সাক্ষী হতে টেবলের সামনে তখন ভিড় জমিয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু সাংবাদিক। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে সাংবাদিক বৈঠক। সংবাদিকদের ভিড়ে ছিলেন আইরিশ সাংবাদিক কাইট্রিওনা পেরি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন তিনিও। আরটিই নিউজ-এর ওয়াশিংটন করেসপনডেন্ট কাইট্রিওনা ভাবতেও পারেননি এমন অদ্ভুত ভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর এই সাংবাদিক সম্মেলন।

Advertisement

নির্বাচনে জয়ের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সেই সময় লিওর সঙ্গে ব্রেক্সিট ও মাইগ্রেশন নিয়ে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। কূটনেতিক আলোচনার ফাঁকে ট্রাম্প লিওকে বলেন, ‘‘আমার সামনে এখন বেশ কয়েক জন আইরিশ সাংবাদিক রয়েছেন।’’ এরপর হঠাৎই লিওর সঙ্গে কথা থামিয়ে দিয়ে কাইট্রিওনাকে আলাদা করে চিহ্নিত করেন ট্রাম্প। তাঁকে ডেকে বলেন, ‘‘তুমি কোথা থেকে এসেছে? এদিকে এসো।’’ ফোনে কিন্তু তখনও অনলাইন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: মোদীর আলিঙ্গনে হতবাক করমর্দন পটু ট্রাম্প

Advertisement

এগিয়ে গিয়ে প্রেসিডেন্টকে নিজের পরিচয় দেন কাইট্রিওনা। এরপরেই ট্রাম্প বলেন, ‘‘তোমার হাসিটা খুব সুন্দর।’’ পর মুহূর্তে ফোনে অপেক্ষারত আইরিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “আমি নিশ্চিত ও আপনার ভাল খেয়াল রাখে।’’ ট্রাম্পের এই মন্তব্যে উপস্থিত সকলেই হেসে ওঠেন। অস্বস্তি কাটিয়ে হাসেন কাইট্রিওনাও। কিন্তু তিনি যে কতটা স্তম্ভিত এবং কতটা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ওই ঘটনায় তা প্রকাশ করেন টুইটারে।

দেখুন সেই ভিডিও

পুরো ঘটনার ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করে কাইট্রিওনা লেখেন, ‘বিজারে মোমেন্ট’। অর্থাত্, ‘বিচিত্র মুহূর্ত’।

পেরির এই টুইটের পর থেকেই একের পর এক সমালোচনা ধেয়ে আসতে থাকে। মারাত্মক ভাবে ট্রোলড হন ট্রাম্প। কেউ বলেন, ট্রাম্প এক জন ১৪ বছরের কিশোরের মতো আচরণ করছেন। পেরিকে উদ্দেশ্য করে অনেকে বলেন, আপনার সাফল্য আপনার হাসির থেকে অনেক বড়। অনেকে ট্রাম্পের হয়ে ক্ষমা চান তাঁর কাছে।

কাইট্রিওনা অবশ্য এই নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করেননি।' ' ' ' '

কাইট্রিওনা অবশ্য এই নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করেননি।' ' ' ' '

কাইট্রিওনা অবশ্য এই নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করেননি।' ' ' ' '

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement