মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।
ভোট বড় বালাই! ইন্দো-মার্কিনিদের ভোট নিজের দিকে টানতে এ বার গাঁধীজিকেও হাতিয়ার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিনেসোটায় এক নির্বাচনী সভা থেকে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদকারীদের ‘ঠগের দল’ বলে আক্রমণ করলেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে বললেন, “এই লোকগুলো এত নির্দয়, যে গাঁধীজির মূর্তিকেও নষ্ট করতে হাত কাঁপেনি।”
গত ২৫ মে মিনিয়াপলিস পুলিশের এক সদস্যের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মৃত্যু হয় অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের। একটি গাড়ির পিছনে তাঁকে মাটিতে চেপে ধরে গলার উপর হাঁটু দিয়ে বসতে দেখা গিয়েছিল এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মীকে। ফ্লয়েড বাঁচার জন্য আর্তনাদ করতে করতেই নিস্তেজ হয়ে আসে তাঁর শরীর। ‘আই কান্ট ব্রিদ। আমি শ্বাস নিতে পারছি না’— বারবার আর্তনাদ করছিলেন তিনি। যা ক্যামেরায স্পষ্ট ধরাও পড়ে। ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে গোটা আমেরিকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাস্তায় নেমেছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা। আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটের পুলিশ বাহিনী বাধ্য হয়েছিল প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে। বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। আন্দোলনের সেই আগুন এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে।
এমনিতেই বর্ণবৈষম্য নিয়ে তেতে ছিল গোটা আমেরিকা। ফ্লয়েডের মৃত্যু সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আবহে ইন্দো-মার্কিনিদের ভোট ধরে রাখতে গাঁধীজির মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের ভাবাবেগকে কাজে লাগানোর একটা চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। মিনেসোটার সভায় ট্রাম্প বলেছেন, “জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদীরা আব্রাহাম লিঙ্কনের মূর্তি ভাঙা শুরু করে। তার পর একে একে জর্জ ওয়াশিংটন, টমাস জেফারসনের মূর্তিতে আঘাত হানে।” এর পরেই মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, “প্রতিবাদীরা মহাত্মা গাঁধীকেও ছাড়েনি! গাঁধীজি ছিলেন শান্তির দূত। আমরাও শান্তি চাই। কিন্তু প্রতিবাদীরা সেই শান্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। তারা জানে না গাঁধীজির মূর্তি ভেঙে কত বড় অন্যায় করেছে!” সেই সূত্রেই প্রতিবাদীদের ‘ঠগবাজের দল’ বলে বর্ণনা করেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: জড়িয়ে ধরেন ট্রাম্প, বিস্ফোরক প্রাক্তন মডেল