ছবি রয়টার্স।
যে সব সংস্থা আমেরিকার ‘জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ’, তাদের তৈরি টেলিকম সরঞ্জাম আর ব্যবহার করতে পারবে না মার্কিন সংস্থাগুলি— এই বিষয়ে একটি প্রশাসনিক নির্দেশে সই করে বুধবার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্ট’-এর আওতায় প্রেসিডেন্ট আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য এ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘আমাদের দেশের তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি-পরিষেবাকে সুরক্ষিত রাখতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘সিকিওরিং দ্য ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস সাপ্লাই চেন’ নামে একটি প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন।’’ পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকায় বসে যারা প্রতিনিয়ত তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে তার অপব্যবহার করছে, সেই সব বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছ থেকে দেশকে নিরাপদ রাখতে চান ট্রাম্প।’’
চিনা টেলিকম সংস্থা হুয়েই-র অর্থবিষয়ক প্রধান আধিকারিক মেং ওয়ানঝৌকে গত বছর ভ্যাঙ্কুভার থেকে গ্রেফতার করে কানাডা। ইরানের বিরুদ্ধে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা তিনি লঙ্ঘন করেছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা হতে পারে। বস্তুত এর পরে ফের আমেরিকার তৎপরতায় চটে গিয়েছে চিন। ট্রাম্পের নির্দেশের জেরে আমেরিকার বাজার থেকে চিনা টেলিকম সংস্থা হুয়েই-ও নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে বেজিংয়ের বক্তব্য, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। এমনিতেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত লড়াই ক্রমশ জটিল হচ্ছে। তার মধ্যে ট্রাম্পের এই ঘোষণায় পারদ আরও চড়বে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।