আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
ভ্রমণ বা অন্য যে কোনও উদ্দেশ্যে আমেরিকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু দেশের নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে নাম রয়েছে ভারতের চারটি প্রতিবেশী দেশেরও। তবে তালিকার সব দেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা ভাবছেন না ট্রাম্প। কোথাও আংশিক, কোথাও শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে। আমেরিকার জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যদিও এখনও তা চূড়ান্ত করেনি হোয়াইট হাউস।
আমেরিকা ভ্রমণে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে, এমন দেশের তালিকাটি প্রথম প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইম্স। পরে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তালিকার কথা জানিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই তালিকায় তিনটি ভাগে ভাগ করে ৪১টি দেশের নাম রাখা হয়েছে। প্রথম ভাগে রয়েছে মোট ১০টি দেশ। এই দেশগুলির উপর আমেরিকা ভ্রমণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। তা যদি হয়, এই সব দেশের কোনও নাগরিককে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা দেওয়া হবে না। তালিকার এই প্রথম ভাগে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ।
তালিকার দ্বিতীয় ভাগে রাখা হয়েছে পাঁচটি দেশের নাম। নানা কারণে এই দেশগুলির উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। ভ্রমণ, উচ্চশিক্ষা, অভিবাসন সব ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে। তবে পরিস্থিতি বুঝে কিছু ব্যতিক্রমে ছাড়ও দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্প দ্বিতীয় তালিকায় রেখেছেন হাইতি, লাওস, দক্ষিণ সুদান, মায়ানমার এবং এরিট্রিয়াকে।
আপাতত তৃতীয় ভাগে মোট ২৬টি দেশ রয়েছে। এই দেশগুলির উপরে শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই সংক্রান্ত যে নথি দেখেছে, তাতে বলা হয়েছে, যদি এই ২৬ দেশের সরকার ৬০ দিনের মধ্যে ঘাটতি পূরণের বিষয়ে উদ্যোগী না-হয়, তবে এই দেশগুলির আমেরিকা ভ্রমণে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। কিসের ঘাটতির কথা বলা হয়েছে, তার উল্লেখ করেনি রয়টার্স। এই তৃতীয় ভাগে রয়েছে পাকিস্তান, ভুটানের মতো নাম।
আমেরিকার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই তালিকা এখনও চূড়ান্ত নয়। প্রশাসনের উপরমহলের অনুমোদনও পায়নি। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে গত ২০ জানুয়ারি সমস্ত ক্যাবিনেট সদস্যকে ট্রাম্প একটি করে তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছিলেন। যে দেশগুলির দ্বারা আমেরিকার নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে, সেই দেশের নাম দিয়ে তৈরি তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে সকলকে জমা দিতে বলা হয়েছে। তার পরে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হতে পারে।