ডেনমার্কের প্রিন্স হেনরিক। ছবি: সংগৃহীত।
দাম্পত্যের হাফ সেঞ্চুরি। ভাবছেন আনন্দের মুহূর্ত? না! একেবারেই নয়। বরং এই দাম্পত্যে তিক্ততা এতটাই যে ম়ৃত্যুর পর যাতে পাশাপাশি কবর না দেওয়া হয়, সে আর্জিও জানানো হল। অদ্ভুত হলেও এটাই চরম বাস্তব ডেনমার্কের প্রিন্স হেনরিকের জীবনে।
ঘটনাটি ঠিক কী?
প্রিন্স হেনরিকের বয়স ৮৩। রানি দ্বিতীয় মার্গারেটের সঙ্গে ১৯৬৭-তে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের দাম্পত্য জীবনের বয়স এখন ৫০ বছর। কিন্তু এতগুলো দিন নাকি শুধুই অশান্তিতে কাটিয়েছেন তিনি। তাই প্রতিবাদ হিসেবেই একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেনরিক। মৃত্যুর পর কোনও ভাবেই যাতে তাঁকে স্ত্রীর পাশে কবর না দেওয়া হয়, সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন হেনরিক। গত বৃহস্পতিবার রয়্যাল ড্যানিশ হাউসের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, মেয়ের বই পড়তে ইংরেজি শিখছেন মালালার মা
ড্যানিশ হাউসের তরফে এক প্রেস বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘‘প্রিন্স দীর্ঘদিন ধরে অসুখী, তা প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই খারাপ লাগা কয়েক গুণ বেড়েছে। ফলে মৃত্যুর পর কোনও ভাবেই যাতে রানির পাশে তাঁকে কবর না দেওয়া হয় সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।” তবে কবর দেওয়ার জন্য এখনও অন্য কোনও জায়গার কথা নির্দিষ্ট করে বলেননি হেনরিক।
আরও পড়ুন, গাঁজা চাষের জন্য আস্ত একটা শহর কিনে নিল কোম্পানি!
আসলে পদমর্যাদায় রানি দ্বিতীয় মার্গারেট হেনরিকের ওপরে। তিনিই হেড অব স্টেট। রানির সই ছাড়া পার্লামেন্টে কোনও আইন পাশ হয় না। নিজের পদমর্যাদা নিয়ে হেনরিকের অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। এই পরিস্থিতি যে হতে পারে তার আভাস নাকি পাওয়া গিয়েছিল আগেই। প্রিন্সের জীবনীকার সাংবাদিক স্টিফেন সারাগের কথায়, ‘‘হেনরিক নিজের ৫০তম জন্মদিনে প্রথম এই পরিস্থিতির কিছুটা আভাস দেন। তিনি তখন প্রকাশ্যে বলেছিলেন সিগারেট খাওয়ার জন্য স্ত্রীয়ের থেকে পকেটমানি চাওয়াটা খুব অস্বস্তিকর।’’ তিনি আরও জানান, হেনরিক নাকি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানিয়েছেন, তিনি মার্গারেটকে স্ত্রী হিসেবে ভালবাসেন। কিন্তু কোনও প্রতিষ্ঠানের রানি হিসেবে পছন্দ করেন না। ডেনমার্কের ভালর জন্য যা যা কাজ হেনরিক করেছেন তা কোনও ভাবেই প্রশংসা পায়নি বলেও মনে করেন তিনি। ফলে এতদিনের জমে থাকা ক্ষোভের প্রতিবাদ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেনরিক।