ফলখেকো বাদুড়ের স্যুপ, পোকা ধরা চিজ, আস্ত গিনিপিগের রোস্ট, ভেড়ার আইবলের জ্যুস-এ সব খাবার নিয়েই আস্ত একটা মিউজিয়াম সুইডেনে। কোন দেশের বাসিন্দারা খান এ সব।
আপ রুচি খানা। উদ্ভট বলে কি আদৌ কিছু হয়? মাছের অন্ত্রের স্যুপ খেত রোমানরা, যাকে বলে গারুম, তাদের কাছে তো অবাক লাগতেই পারত ইলিশের পাতুরি নামটা। ‘‘উদ্ভট খাবারের মিউজিয়াম, যাতে খাবার নিয়ে কোনও রকম নাক সিঁটকোনো না থাকে,’’ জানান কিউরেটর। এর প্রবেশমূল্য ১৬০০ টাকা।
ম্যাগট (পোকা) ধরা চিজ! সারাডিনিয়ার কয়েক জন নাগরিকদের কাছে কিন্তু এটাই খাবার। রয়েছে এই সংগ্রহশালায়।
চিনের এক প্রদেশেই যাঁড়ের পেনিস খাওয়ার চল রয়েছে! সেটিও রয়েছে সংগ্রহশালায়।
আস্ত ফলখেকো বাদুড়ের স্যুপ খাওয়ার চল রয়েছে গুয়ামের বাসিন্দাদের। সেটিও রয়েছে এখানে।
ভেড়ার আইবলের রস থেকে তৈরি হয় শিপ আইবল জ্যুস। মঙ্গোলিয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে এই খাবারের চল রয়েছে।
নাটো: জাপানের স্যুপে থাকে পচা সয়াবিন, গেঁজিয়ে ওঠা সয়াবিন (ফারমেনটেড) দিয়েই তৈরি হয় এটি। রয়েছে সংগ্রহশালায়।
চিনের থ্রি পেনিস রাইস ওয়াইনে থাকে শিল মাছ, হরিণ, ক্যানটোনিজ কুকুরের শিশ্ন (পেনিস)-এর অবশিষ্টাংশ। এটিও রয়েছে সংগ্রহশালায়।
পেরুর বাসিন্দারা আস্ত গিনিপিগের রোস্ট খান। সেটিও রয়েছে এখানে।!
মেনুদো: গরুর পাকস্থলী দিয়েই হয় এই রান্না। পুয়ের্তো রিকোর খাবার এটি। আশিটি খাবারের মধ্যে এটিও স্থান পেয়েছে সংগ্রহশালায়। মেক্সিকোতেও রয়েছে এই খাবারের চল।
জিম্বাবোয়ের মোপেন ওয়ার্মস: কিলবিল করছে পোকা। আর তা দিয়েই খাবার। থাকে চিলি সস আর লেবু। এটিও স্থান পেয়েছে সংগ্রহশালায়।
ফারমেনটেড শার্ক: আইসল্যান্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে চল রয়েছে এই খাবারের। গেঁজিয়ে ওঠা পচা হাঙরের মাংস এটি।
জেল-ও-স্যালাড: আমেরিকার খাবার এটি। এটি নাকি তিতকুটে আঠার মতো।