Volodymyr Zelenskyy

কমলার প্রচারে জ়েলেনস্কি সত্যিই অংশ নিয়েছিলেন কি? ট্রাম্পের সামনে ঠিক অভিযোগ করলেন ভান্স?

জ়েলেনস্কি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুযুধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী, ট্রাম্প এবং কমলা ব্যস্ত ছিলেন প্রচারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১৪:২৯
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাদানুবাদের সময় অভিনব অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের দাবি ছিল, গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বীর’ পক্ষে প্রচার করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ওই নির্বাচনে রিপাপলিকান নেতা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন কমলা হ্যারিস। ভোটের সময় তিনি ছিলেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে।

Advertisement

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের উত্তপ্ত বৈঠকের পর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ওই দাবি ইতিমধ্যেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রশ্ন উঠেছে, বক্তব্যের সত্যতা নিয়েও। তথ্য বলছে, জ়েলেনস্কি গত ২২ সেপ্টেম্বর পেনসিলভানিয়ায় ‘স্ক্র্যান্টন আর্মি অ্যাম্যুনিশন প্ল্যান্ট’ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পেনসিলভানিয়ার তৎকালীন গভর্নর তথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা জোশ শাপিরো এবং ওই দলেরই সেনেটর বব ক্যাসি। ওই সরকারি কর্মসূচিতে ছিলেন রিপাবলিকান নেতা ম্যাট কার্টরাইটও।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে পেন্টাগনের সামরিক সহয়তা চাইতেই সে বার আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন জ়েলেনস্কি। কারখানা পরিদর্শনের সময়ও মার্কিন সমর্থনের গুরুত্বের কথা বলেছিলেন তিনি। তবে সরাসরি কোনও প্রার্থীর নাম করে সমর্থন বার্তা দেননি। সে সময় বাইডেন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন কমলা। বস্তুত, ওই সফর চলাকালীন ২৬ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে বাইডেন এবং কমলার সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠকও করেছিলেন জ়েলেনস্কি। এমনকি, তার পরদিন ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

Advertisement

বস্তুত, বিবিসি প্রকাশিত এক খবরে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ট্রাম্প নিজেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে জ়েলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রকাশিত হয় ওই খবর। একটি চিঠিতে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন ট্রাম্প-জ়েলেনস্কির টেলিফোন কথোপকথন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মদত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি ট্রাম্পকে সরাতে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবও আনা হয়েছিল সে সময়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement