বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবিতে মিছিল মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে। বুধবার। ছবি: পিটিআই।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঢাকা আশ্বাস দিয়েছে বলে জানালেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। সূত্রের খবর, আজ নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ কথা কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন মিস্রী। অগস্ট মাসে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে বাংলাদেশ আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মোহাম্মদ জসিমুদ্দিন রাহামানির মতো শাস্তিপ্রাপ্ত জঙ্গিকে মুক্তি দেয়। মুক্তি দেওয়া হয় শেখ আসলাম-সহ আরও বেশ কিছু অপরাধীকে। সূত্রের খবর, মিস্রী ঢাকাকে জানিয়েছেন শাস্তিপ্রাপ্তেরা বাইরে এসে সে দেশে ভারত-বিরোধী হাওয়া তৈরিতে ইন্ধন দিচ্ছে। যা নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের।
রাজনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে মিস্রী এমনটাও বলেছেন যে তাঁর সফরের পরে সম্পর্কে ‘নজরে পড়ার মতো’ উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত তাঁর ঢাকা সফরের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৪ থেকে ২০ অগস্ট পর্যন্ত হামলা ও হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৬২টি মামলা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এই ধরনের মোট ৮৮টি মামলায় ৭০ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে তারা।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকা নিয়ে সাংসদদের প্রশ্নের জবাবে মিস্রী কী বলেছেন তা জানা যায়নি। সূত্রের খবর, তিনি ঢাকাকে জানিয়েছেন হাসিনা ভারত থেকে যে সব বক্তব্য প্রচার করছেন তার সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।
সূত্রের খবর, ঢাকার বৈঠকে বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে সে দেশে ভারত-বিরোধিতার বিষয়টিকে বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। ভারতের তরফেও জানানো হয়েছে, এ দেশে বাংলাদেশ-বিরোধিতার চিত্রটিও বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে নানা মাধ্যমে। কিন্তু সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি যে মনগড়া নয় এমনটাই দাবি করেছেন ভারতীয় কর্তা। আর সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, মিস্রী সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে আজ বলেন ঢাকাকে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে যাতে কোনও হেরফের না হয় সে দিকে নজর রাখছে ভারত। অর্থাৎ খাদ্যপণ্য-সহ যা যা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভারত থেকে সে দেশে রফতানি করা হত, তা বহাল থাকবে। অন্য দিকে বাংলাদেশের দাবি, ভারতীয় ভিসা ব্যবস্থাকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে আসুক নয়াদিল্লি।