মাইক পম্পেয়ো।
মার্কিন প্রশাসনের হাতে দশ দিন বন্দি ছিলেন তিনি। ইরানের এক সংবাদ চ্যানেলের সঞ্চালিকা সেই মারজ়িয়ে হাশেমির কাঁধে এ বার খোদ মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর সাক্ষাৎকার নেওয়ার দায়িত্ব পড়ল। পম্পেয়োর কাছে অন্তত এমন প্রস্তাবই পাঠিয়েছে ইরান সরকার।
গত বৃহস্পতিবার পম্পেয়ো একটি সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, তিনি ইরানে আসতে চান। শুধু তা-ই নয়, এখানকার টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে ইরানের মানুষকে জানাতে চান, কেন আমেরিকা ইরানের উপরে এমন কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
পম্পেয়োর সেই প্রস্তাবে আজ সাড়া দিয়েছে ইরান সরকার। সরকারি মুখপাত্র আলি রাবিয়েই ইরানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পম্পেয়োকে তাঁদের দেশে স্বাগত। আলি আরও জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারের জন্য হাশেমিকে বেছেছেন তাঁরা। পম্পেয়ো যা ব্যাখ্যা দেওয়ার তাঁকেই যেন দেন।
মুসলিম কৃষ্ণাঙ্গ এই মহিলাকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১০ দিনের জন্য আটক করে রেখেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ইরানের একটি ইংরেজি চ্যানেলে সঞ্চালিকার কাজ করেন হাশেমি। কোনও কাজে আমেরিকা গিয়েছিলেন। অপরাধমূলক আচরণের
সন্দেহে তাঁকে আটক করা হয়। পরে মুক্ত হয়ে ইরানে ফিরে আসার পরে হাশেমি অভিযোগ করেন, তাঁর ধর্ম এবং গায়ের রঙের জন্যই মার্কিন প্রশাসন তাঁকে হেনস্থা করেছে। ইরান সরকার জানিয়েছে, তাদের বিদেশমন্ত্রী সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলায় বাধ্য হয়ে ইরানে এসে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পম্পেয়ো।
এ দিকে, ব্রিটিশ তেলের ট্যাঙ্কার আটক করার জন্য পারস্য উপসাগরে ইউরোপীয় নৌবাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছে ব্রিটেন। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে ইরানের সরকারি মুখপাত্র আলি রাবিয়েই রবিবার বলেন, ‘‘ব্রিটেনের এই পদক্ষেপ ভুল বার্তা দিচ্ছে। এতে পরিস্থিতি আর জটিল হবে।’’