ফাইল ছবি
আল কায়দার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জ়াওয়াহিরিকে তালিবান নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে রেখেছিল— এই তথ্য এখন বিশ্বের কাছে স্পষ্ট। কূটনৈতিক শিবির মনে করছে, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের নতুন করে সংযোগ তৈরির যে চেষ্টা চলছে, এই ঘটনার অভিঘাতে তা রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে না ঠিকই। কিন্তু সাউথ ব্লক আরও সতর্ক এবং সন্দিহান হয়ে পড়ল কাবুল তথা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার ভূ-কৌশল নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতিও দেওয়া হল না।
কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের কারণেই সম্ভবত এখনও পর্যন্ত তালিবান ভারতের সঙ্গে খুবই ভাল আচরণ করছে। যাতে কোনও ভারত-বিরোধী জঙ্গি সংগঠন কাবুলের মাটিতে প্রভাব বাড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত থেকে কাবুলে যাওয়া সচিব পর্যায়ের আধিকারিকেরা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন। স্বীকৃতি পাওয়ার পরে সে দেশে ভারতীয় দূতাবাসের তালাও খুলেছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, তাসত্ত্বেও তালিবানকে যে বিশ্বাস করা যায় না, তা আবারও প্রমাণ হল। এই দাবিও করা হচ্ছে যে, নয়াদিল্লি আর চোখ বুজে তালিবানকে ভরসা করছে না। সতর্ক হয়ে ধাপে ধাপে পাফেলা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে, আফগানিস্তানে পাক সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি প্রশিক্ষণ শিবির চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত এটাও মনে করে, আফগানিস্তানে আল কায়দার স্বর্গোদ্যান তৈরি হলে তাতে পাক-জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি লাভবান হবে। তালিবান আফগানিস্তান দখলের পরেও জ়াওয়াহিরি একের পর এক ভারত-বিরোধী ভিডিয়ো মেসেজ করেছেন। গত এপ্রিলে কর্নাটকের হিজাব-বিতর্ক নিয়ে একটি ভিডিয়ো–বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই বার্তাটি নাকি তাঁর অবস্থান জানার ক্ষেত্রে কাজে এসেছে।
বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, তালিবান সরকারের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক চটজলদি ঘনিষ্ঠ না করার কারণ হল, তাদের সঙ্গে এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির যোগাযোগ। চলতি মাসেই এসসিও সম্মেলনের আগে উজ়বেকিস্তানে আফগানিস্তান বিষয়ক সম্মেলনে পাকিস্তান ও চিন তাদের বিদেশমন্ত্রীদের পাঠালেও উৎসাহ দেখায়নি ভারত। মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট সচিবরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।