প্রতীকী ছবি।
অবিলম্বে কোভিড প্রতিষেধক প্রয়োজন ঢাকার। নয়াদিল্লি আশ্বাসও দিয়ে রেখেছিল সময় মতো দেওয়ার। কিন্তু দেশে অভূতপূর্ব সঙ্কটের কারণে ভারতের প্রতিষেধক কূটনীতিতে সাময়িক তালা। অবিলম্বে পাঁচ লাখ ডোজ় করোনার টিকা ভারত সরকারের কাছে চেয়েছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্তরে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে আপৎকালীন দৌত্যও চালাচ্ছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। ঢাকা সূত্রের বক্তব্য, বিদেশ মন্ত্রক এ ব্যাপারে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে রাজি থাকলেও শীর্ষ পর্যায়ে আটকে যাচ্ছে বিষয়টি। সূত্রের মতে, বাংলাদেশে অনেকেই প্রথম ডোজ় নিয়ে বসেআছেন, কিন্তু ভারত থেকে না আসার জন্য দেওয়া যাচ্ছে না পরবর্তী ডোজ়। অথচ ভারতের উপর পূর্ণ ভরসা করার কারণে চিনের কাছ থেকেও প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে গোড়া থেকে উৎসাহ দেখায়নি ঢাকা।
ভারত যদিও প্রতিষেধক রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে আজ আগরতলায় জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, ‘‘করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের ঢেউ ভয়ঙ্কর। প্রতিষেধকের চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের ঘাটতি রয়েছে। ভারতেই প্রতিষেধকের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে সব সময়ে আগের প্রতিশ্রুতি মেনে রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না।’’
ঢাকা-দিল্লি বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় দোরাইস্বামী ১৮ এপ্রিল আগরতলা হয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন। এ দিনও ত্রিপুরার আখাউড়়া সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে ফিরে যান তিনি। বাংলাদেশে যাওয়ার আগে দোরাইস্বামী জানান, ভারত থেকে প্রতিষেধকের ৭০ লক্ষ ডোজ় বাংলাদেশ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষেধকের আরও ৩৩ লক্ষ ডোজ় ভারত বাংলাদেশকে সরবরাহ করবে।