ভয়াবহ: পুড়ে খাক দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। সোমবার দক্ষিণ জার্মানির মুয়েন্শবুর্গে। ছবি: এএফপি
ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের নিয়ে হাইওয়ে ধরে ছুটে যাচ্ছিল বাস। ৪৮ জন আরোহী-সহ বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হঠাৎ ধাক্কা মারে একটি লরিতে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বাসে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৮ যাত্রীর। সোমবার সকালে উত্তর বাভেরিয়ার কাছে এ-নাইন হাইওয়ের উপর ঘটে এই দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা পান ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
বাভেরিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ নুরেমবুর্গের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বাসটিতে। আগুনে বাসের ধাতব কাঠামোটি বাদে ঝলসে যায় ভিতরের সম্পূর্ণ অংশ। প্রবল তাপের কারণে উদ্ধারকাজ শুরু করতেও দেরি হয়ে যায়। বেরিয়ে আসতে না পেরে ততক্ষণে ভিতরেই ঝলসে মৃত্যু হয় ১৮ জনের।
আরও পড়ুন: পাল্টা চাপ দিতে ভারতের সহায় ইজরায়েল
পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে ৪৬ জন যাত্রী ও দু’জন চালক ছিলেন। যাত্রীদের বয়স ৪১ থেকে ৮১ বছরের মধ্যে। ছুটি কাটাতে ড্রেসডেন থেকে ইতালির লেক গ্রাদায় যাচ্ছিলেন তাঁরা। চালকদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, লরিটিতে গদি ও বালিশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লরির চালক জানিয়েছেন, বাসটিই এসে প্রথম লরিতে ধাক্কা মারে। সেই সময় রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম ছিল। ফলে গাড়ির গতি তেমন বেশি থাকা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। দুর্ঘটনার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাইওয়েটি। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে পাঁচটি হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুল্যান্স। আহত ও নিহতদের উদ্দেশে শোক প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।
এ দিনের দুর্ঘটনাটি ঘটে বাইরয়েথ শহরের কাছে। প্রতি বছর গ্রীষ্মে অপেরা ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে এই শহরে হাজির হন বহু সঙ্গীতপ্রেমী। এছাড়া আশপাশের এলাকায় রয়েছে বহু প্রাচীন দুর্গ। দুর্ঘটনাস্থল এ-নাইন হাইওয়ে ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় বহু জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে।