ছবি: রয়টার্স।
সোমবারের পর মঙ্গলবারেও ফের জারি রইল সংঘর্ষ। ইজ়রায়েল অধিকৃত গাজ়া ভূখণ্ড এবং জেরুসালেমের একাংশে সোমবার হঠাৎই হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনি জঙ্গিরা। আকাশের ও পার থেকে ছুটে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট। ইজ়রায়েলি সেনার মতে, অন্তত শ’দেড়েক তো হবেই। বিশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে অধিকাংশ রকেটের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা আটকানো গিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ইজ়রায়েলও। মঙ্গলবার সকালেও জারি ছিল সেই সংঘর্ষ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’দিনের এই সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জন প্যালেস্তাইনি নিহত হয়েছেন। সোমবারই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে ৯ জন শিশু।
ইজ়রায়েলি সেনার অবশ্য দাবি, হামলাকারী হামাস জঙ্গিদের উদ্দেশে ওই আক্রমণ হেনেছে তারা। ইজ়রায়েল সরকারের মতে, ২০১৪ সালের যুদ্ধের পরে এত বড় হামলা আর হয়নি। ইজ়রায়েলি প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাষায়, ‘লাল সীমা’ অতিক্রম করেছে জঙ্গিরা।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কিত গাজ়াবাসী রাতারাতি বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন। প্যালেস্তাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস এই হামলার দায় নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইজ়রায়েলি দমন-পীড়নের জবাব দিতেই এই হামলা চালিয়েছে তারা।
পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আজ জেনেভায় রাষ্ট্রুপুঞ্জের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল বলেন, ‘‘সমস্ত ধরনের সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসে উস্কানির নিন্দা করছি।’’ ইজ়রায়েল সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাক্ স্বাধীনতা, জমায়েত, জনসভার অধিকার দিতে হবে ইজ়রায়েলকে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘শান্তিপ্রিয় বাসিন্দাদের উপরে দমন-পীড়ন চালানো উচিত নয়। যদি কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতেই হয়, লক্ষ্য রাখতে হবে তাতে যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন না-হয়।’’ নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে উত্তেজনা কমাতে দু’পক্ষকেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে আমেরিকা।