Titanic Submarine Tragedy

দুর্ঘটনা অতীত! আবারও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিল ওশানগেট

তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, টাইটানিকে ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য দু’টি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমটি ২০২৪ সালের ১২ থেকে ২০ জুন। দ্বিতীয়টি ২১ থেকে ২৯ জুন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ওয়াশিংটন ডিসি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১১:৪০
Share:

ওশানগেট সংস্থার ডুবোজাহাজ টাইটান। — ফাইল চিত্র।

টাইটান ডুবোযান দুর্ঘটনার পর ১০ দিনও কাটেনি। এখনও পরবর্তী অভিযানের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে ওই ডুবোযান পরিচালন সংস্থা ‘ওশানগেট’। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞাপন এখনও সংস্থার ওয়েবসাইটে রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

অতলান্তিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল টাইটান ডুবোযান। মারা গিয়েছেন পাঁচ আরোহী। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, পরের বছরও অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, টাইটানিকে ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য দু’টি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমটি ২০২৪ সালের ১২ থেকে ২০ জুন। দ্বিতীয়টি ২১ থেকে ২৯ জুন। খরচ পড়বে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা। পরিবর্তে ডুবোযান নিয়ে অতলান্তিকে অভিযান, জাহাজে থাকা, খাওয়া, প্রশিক্ষণ, অভিযানের সরঞ্জাম— সব ব্যবস্থাই করবে সংস্থা।

অভিযানের বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্যও দেওয়া রয়েছে বিজ্ঞাপনে। তাতে বলা হয়েছে, প্রথম দিন সেন্ট জনস শহরের সৈকতে উপস্থিত হতে হবে অভিযাত্রীদের। সেখান থেকে শুরু হবে যাত্রা। টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে। গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে ৪০০ নটিক্যাল মাইল ভাসতে হবে সমুদ্রে। যদিও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, এই অভিযান ‘অনির্দিষ্ট’ কালের জন্য বন্ধ থাকবে। ওই সংবাদ সংস্থার আরও দাবি, নিখোঁজ ডুবোযানের যখন সন্ধান চলছিল, তখনও সংস্থার ওয়েবসাইটে সহকারী পাইলট চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে জাহাজ থেকে অতলান্তিকের গভীরে ডুব দিয়েছিল টাইটান। মহাসাগরের গভীরে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, অভিযাত্রীদের সেই জায়গা ঘুরে দেখায় টাইটান। ওশানগেট সংস্থার তৈরি ওই ডুবোযান গত ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট গভীরে নেমেছিল। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় টাইটান। নিখোঁজ ডুবোজাহাজ উদ্ধারের কাজে নেমেছিল আমেরিকা এবং কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে চলছিল খোঁজ। ডুবোযানের শব্দ ধরার জন্য শব্দতরঙ্গ যন্ত্রও বসানো হয়েছিল। উপকূলরক্ষী এবং বিমানবাহিনীর সঙ্গে তল্লাশিতে নেমেছিল রোবটও। এই রোবটই টাইটানিকের কাছেই একটি অন্য যানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় এবং পরে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী সেটিকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ বলেই চিহ্নিত করে। সং‌বাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ডুবোযানটিতে ছিলেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজ়াদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement