ক্রেতাদের জোর করে আটকে রাখার চেষ্টার অভিযোগ। ছবি সৌজন্য টুইটার।
শপিং মলে এক জনের কোভিড ধরা পড়তেই লকডাউন ঘোষণা করে ক্রেতাদের ‘জোর’ করে নিভৃতবাসে পাঠানোর চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল। কোভিড সংক্রমণের খবর পেয়েই শপিং মলে লকডাউন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই ঘোষণার পরই মলে আসা ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে যেখানে ছিলেন, যে অবস্থায় ছিলেন, কেনাকাটা বন্ধ করে দিয়ে মল ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন।
কিন্তু তত ক্ষণে শপিং মলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কেউ যাতে বেরোতে না পারেন, তাই নিরাপত্তারক্ষীরা প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু ক্রেতাদের বিপুল ভিড়ের কাছে হার মানতে হয় তাঁদের। এ ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মল ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য ক্রেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁদের ঠেলে সরিয়ে সকলে বেরিয়ে ছুটতে থাকেন।
সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে জুহুই জেলায়। আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ক্রেতারা মলের ভিতর থেকে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে আসছেন। বাইরে বেরোনোর জন্য ক্রেতাদের মধ্যে ঠেলাঠেলি চলছে।
কোভিডের জেরে এ বছরের গোড়াতেই টানা দু’মাস লকডাউন চলেছে সাংহাইয়ে। পরিস্থিতি একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছিল। কিন্তু ফের স্থানীয় ভাবে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সাংহাইয়ে নতুন পাঁচ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। সকলেই উপসর্গহীন।