ফাইল চিত্র।
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ফাইজার কি শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে? এই প্রতিষেধক নিলে কি শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পায়, সক্রিয়তা কমে যায়? সম্প্রতি ফাইজার প্রতিষেধক নিয়ে এ সব আশঙ্কাই সামনে আসতে শুরু করেছিল। যার উত্তর মিলল ইজরায়েলের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায়।
একটি বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত সেই গবেষণা ফাইজার প্রতিষেধক নিয়ে সব আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, এই প্রতিষেধকের সঙ্গে শুক্রাণু হ্রাসের কোনও সম্পর্ক নেই।
ইজরায়েলের একদল বিজ্ঞানী ৪৩ জন পুরুষের উপর গবেষণা চালান। ফাইজার প্রতিষেধক নেওয়ার ঠিক আগে এবং প্রতিষেধক নেওয়ার এক মাস পরে তাঁদের শুক্রাণুর নমুনা সংগ্রহ করেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শুক্রাণুর সংখ্যা এবং সক্রিয়তার মধ্যে কোনও ফারাক নেই। প্রতিষেধকেও আগেও যা ছিল প্রতিষেধকের পরেও তাই রয়েছে।
এই গবেষণার পর অহেতুক ভয় না পেয়ে সকল পুরুষদেরই প্রতিষেধক নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যে সকল দম্পতি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদেরও নিশ্চিন্তে প্রতিষেধক নেওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পাশাপাশি ফাইজার প্রতিষেধকের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও সাবধান করে দিয়েছেন তাঁরা। ঘুম না আসা, খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাওয়ার মতো কিছু অভিজ্ঞতা হতে পারে কারও কারও।