প্রতীকী ছবি।
কোভিড ১৯ ভাইরাস বায়ুর মাধ্যমেও ছড়ায়। এত দিন এই তত্ত্বকে সমর্থন জানিয়ে আসছিল আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। কিন্তু হঠাৎই সেই তত্ত্ব থেকে তারা সরে আসায় বিজ্ঞানী মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সিডিসি তাদের ওয়েবসাইট থেকে এই তত্ত্বের সমর্থনে সেই বিবৃতিকেও সরিয়ে দিয়েছে। এবং যুক্তি হিসেবে তারা বলেছে, প্রযুক্তিগত ভুলের জন্য পুরনো এই খসড়াটি কোনও ভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। সিডিসি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জে বাটলার বলেন, “এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে পুরনো একটি খসড়া প্রকাশিত হয়েছে।” তবে কোভিড যে বায়ুবাহিত নয়, আগের এই মন্তব্যেই তাঁরা অনড় থাকছেন বলে জানিয়েছেন বাটলার।
কোভিড-১৯ বাহুবাহিত কি না, তা নিয়ে এখনও তর্ক-বিতর্ক চলছে। এই ভাইরাস বায়ুবাহিত নয়, এ কথা আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, এই ভাইরাস বায়ুবাহিত। সিডিসি-ও বিজ্ঞানীদের এই তত্ত্বকে সে সময় সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু তারা হঠাৎ করে সেই তত্ত্ব থেকে সরে আসায় বিজ্ঞানী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ লক্ষাধিক, দৈনিক সংক্রমণ নামল ৭৫ হাজারে
শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে সিডিসি জানায়, ৬ ফুট দূরত্বেও কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। ঘরের ভেন্টিলেশন সিস্টেম সঠিক না থাকার কারণে প্রায় ২ লক্ষ আমেরিকাবাসীর মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। কিন্তু এই সিডিসি-ই আগে সতর্ক করেছিল, বড় ড্রপলেটের মাধ্যমেই মূলত কোভিড ছড়াচ্ছে। কিন্তু পরে ফের বক্তব্য পাল্টে তারা জানায়, ক্ষুদ্র ড্রপলেটের মাধ্যমে বায়ুবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড ভাইরাস। কিন্তু সোমবার ‘কোভিড বায়ুবাহিত’ এই মন্তব্য থেকে সরে আসে সিডিসি। কোভিডের মতো একটা সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে বার বার অবস্থান বদলানোয় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সিডিসি-কে।
যদিও সিডিসি-র ডেপুটি ডিরেক্টর বলেন, “বায়ুর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার একটা সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তথ্য কিন্তু বলছে না যে, বায়ুর মাধ্যমেই ছ়ড়াচ্ছে এই ভাইরাস। বাটলার আরও বলেন, যদি এটা বায়ুবাহিতই হত, তা হলে সংক্রমণ আরও দ্রুত গতিতে ছড়াত।
কেন এ রকম বার বার অবস্থান বদলাচ্ছে সিডিসি, যেখানে কোটি কোটি মানুষের জীবন জড়িয়ে রয়েছে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা নিয়ে। আরও প্রশ্ন উঠছে, এটা যদি বায়ুবাহিত হয়, তা হলে যে সব জায়গায় স্কুল, কলেজ, অফিস খুলেছে, সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে।