চিনে বাড়ছে করোনার দাপট। আগামী দিনে সংক্রমণের সংখ্যা শিখর ছুঁতে পারে। ছবি রয়টার্স।
করোনার নতুন উপরূপের দাপাদাপিতে রীতিমতো থরহরি কম্প চিনে। হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এক সপ্তাহের মধ্যে সে দেশে সংক্রমণ শিখরে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। যদিও চিনে নতুন করে কোভিডে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার চিনে দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজারের নীচে। টানা তিন দিনে ভাইরাসে প্রাণহানির খবর মেলেনি। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে তিলধারণের জায়গা নেই। ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ’-এর ডিরেক্টর ঝাং ওয়েনহং জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে চিনে সংক্রমণ শিখরে পৌঁছতে পারে। যার জেরে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। যার প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়।
এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামে লন্ডনের একটি বিশ্লেষক সংস্থা তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করেছে যে, আগামী দিনে চিনে কোভিড পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে পারে। জানুয়ারি মাসে সে দেশে দৈনিক সংক্রমণ হতে পারে ৩০ লক্ষেরও বেশি। মার্চে এই সংখ্যা ছুঁতে পারে ৪০ লক্ষ।
বস্তুত, ২০১৯ সালের শেষে চিনেই প্রথম করোনায় সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পর পরিস্থিতি সামলে চিন ছন্দে ফিরতে থাকলেও ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে করোনার দাপাদাপি শুরু হয়। চলতি বছরে চিনে নতুন করে সংক্রমণের দাপট দেখা যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর লকডাউন জারি করে শি জিনপিং সরকার। করোনা রুখতে নেওয়া হয় ‘জিরো কোভিড নীতি’। কিন্তু সে দেশের বাসিন্দাদের প্রতিবাদে শেষমেশ এই নীতি থেকে পিছু হটে সরকার। করোনার বিধিনিষেধ আলগা হতেই আবার চিনে চোখ রাঙাচ্ছে সংক্রমণ।