কয়েক বছর হল আমেরিকায় একটা পুরনো বাড়ি কিনেছেন এক দম্পতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের বাড়ি। ১৯৪০ সালের এই বাড়ি দেখেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। কিন্তু পুরনো বাড়ি তো, মেরামত না করালেই নয়। আর সেই মেরামতির সময়ই ‘গুপ্তধন’ পেলেন তাঁরা।
ঘটনাটি অবশ্য বছর খানেক আগের। তবে তা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। বেসমেন্ট থেকে শুরু হয় বাড়িটির সংস্কার। ধুলো ভরা বেসমেন্ট পরিষ্কার করতে গিয়েই চমক। দেখা গেল, বেসমেন্টের সিলিংয়ে ধুলোর আস্তরণে মোড়ানো রয়েছে একটা বাক্স।
ধুলো পরিষ্কার করে দেখা গেল, সেটা একটা সবুজ রঙের লাঞ্চবক্স। কী রয়েছে ভিতরে? স্বর্ণমুদ্রা? সোনার বাঁট? না, লাঞ্চবক্সটি অত ভারী নয়। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে বাক্সটি খুললেন ওই দম্পতি। দেখা গেল, লাঞ্চবক্সের ভিতরে তিনটে কৌটো, ওয়্যাক্স পেপারে মোড়া।
প্রথম বাক্সটা খুলতেই বেরোল ১৯২৮-১৯৩৪ সালের বেশ কিছু কুড়ি ডলারের নোট। কী কাণ্ড। ‘‘আমরা নিশ্চয়ই কোনও ভাল কাজ করেছি’’, চিৎকার করে বলে উঠলেন মহিলা।
দ্বিতীয় বাক্সটা দেখা যাক। এ বার একটা ৫০ ডলারের নোটের বান্ডিল। একটা খবরের কাগজের কাটিংও ছিল। ছিল ১৯৫১ সালের কিছু বিল। এখানে কারও নাম লেখা রয়েছে? ভাল ভাবে বুঝতে পারলেন না তাঁরা।
পরের বাক্সে দেখা গেল একগুচ্ছ একশো ডলারের নোট। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ হাজার ডলার। কিন্তু এই অর্থের মালিক কে? উকিলকে খবর দিলেন দম্পতি।
উকিল অনেক তদন্তের পর জানালেন, প্রথমে এই বাড়ির মালিক ছিলেন এক মহিলা। তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁরই টাকা এগুলি। টাকাগুলিতে বিরল কিছু প্রতীকও রয়েছে।
উকিল জানিয়ে দিলেন, বর্তমানে অর্থের মালিকানা এই দম্পতিরই। বেসমেন্টে পাওয়া ‘গুপ্তধন’ দিয়েই শুরু হয় বাড়ির রিমডেলিং।