এই রেমডেসিভির তৈরির জন্য বিভিন্ন দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে জিলিয়াড। ছবি: এএফপি
করোনাভাইরাসের প্রতিরোধী ওষুধ ‘রেমডেসিভির’ সফল বলে দাবি করেছেন গবেষক-বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সাফল্যের পর ওই ওষুধ প্রয়োগের অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ বার সারা বিশ্বেই শুরু হল সেই ‘রেমডিসিভির’ তৈরির প্রস্তুতি। আমেরিকার প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘জিলিয়াড’ জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান-সহ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে যাতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ওষুধ তৈরি শুরু হয়ে যায়, সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সংস্থা। তবে কোন কোন সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি ওই সংস্থা।
প্রায় চার মাস ধরে বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লেও এখনও কার্যত তার কোনও নিশ্চিত প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। একমাত্র আশার আলো দেখিয়েছে ‘জিলিয়াড সায়েন্সেস আইএনসি’-র অর্থসাহায্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ওষুধ রেমডিসিভির। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই রেমডিসিভির করোনার বিরুদ্ধে ভাল কাজ দিয়েছে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা। গত সপ্তাহেই সেই ওষুধ প্রয়োগের অনুমোদনও দিয়েছে আমেরিকার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন’।
তার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে এই ওষুধের চাহিদা আকাশচুম্বি। সব দেশই চাইছে ওই ওষুধ পেতে বা নিজেদের দেশে তৈরি করতে। সেই প্রক্রিয়াই এগোতে শুরু করল জিলিয়াড। সংস্থার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (মার্কিন সময়) বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি লাইসেন্সের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের ওষুধ প্রস্তুতকারী একাধিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই ওষুধ তৈরিতে প্রযুক্তি-সহ যাবতীয় সহায়তা করবে জিলিয়াড।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুতে ইটালিকে ছাপিয়ে ইউরোপের শীর্ষে ব্রিটেন, বিশ্বে আড়াই লক্ষের বেশি প্রাণহানি
আবার মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মে মাসেই রেমডিসিভির তৈরি শুরু করবে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গেও ওষুধ তৈরি করা নিয়ে কথা চলছে বলে জিলিয়াড জানিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে একটি কনসর্টিয়াম তৈরির চেষ্টা চলছে, যাতে সারা বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে এই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৫০ হাজার, ১৫ হাজার ছাড়াল শুধু মহারাষ্ট্রেই
জিলিয়াডের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, প্রথম ১৫ লক্ষ রেমডেসিভির দান করা হবে। অর্থাৎ কোনো দাম নেওয়া হবে না। আরও বলা হয়েছিল, ওই ওষুধের দাম যাতে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।