নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খান।
সার্ক দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়েই ‘করোনা কূটনীতির’ ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ তাতে সাড়া দিল পাকিস্তানও। মোদীর প্রস্তাব ছিল, নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের সুস্থ রাখতে ভিডিয়ো-কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথ আলোচনায় করোনা-মোকাবিলায় একটা শক্তিশালী কৌশল উঠে আসুক। কাল মোদী এই টুইট করার পর-পরই তাতে সম্মতি জানিয়েছিল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান ও মলদ্বীপ। কিছুটা সময় নিয়ে ‘আলোচনায় রাজি’ বলে জানাল ইসলামাবাদও। আগামিকাল, রবিবার বিকেল ৫টায় ভিডিয়ো-কনফারেন্সে বসছেন মোদী।
করোনা-মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশগুলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তাঁরা তৈরি বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আইশা ফারুকি। করোনা-ত্রাসের এই আবহে যৌথ আলোচনাটা জরুরি মেনে নিয়েই কাল তিনি টুইট করলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়ক জ়াফর মির্জার সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করেছি। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ভিডিয়ো কনফারেন্সে পাকিস্তানের হয়ে তিনিই প্রতিনিধিত্ব করবেন।’’
৮ দেশের জোট সার্ক গোষ্ঠীর বাকিরা মোদীর প্রস্তাবে সাড়া দিলেও, পাকিস্তান প্রাথমিক ভাবে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। তাতে নয়াদিল্লির একাংশের মনে হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও হয়তো আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে নিজেদের ছায়াযুদ্ধের রেশ বজায় রাখতে চাইছে পাকিস্তান। ভারত-পাক দীর্ঘ টানাপড়েনের জেরে চার বছর বন্ধও রয়েছে সার্ক সম্মেলন। এই পরিস্থিতিতে, করোনা-মোকাবিলার মঞ্চে পাকিস্তানের জন্য দরজা খোলাই রেখেছিল সাউথ ব্লক। কাল বেশি রাতে মোদীর প্রস্তাবে পাকিস্তান যে ভাবে সম্মতি জানাল, তাতে অনেকেই মনে করছেন, সমূহ সঙ্কটের সময়ে আপাতত দ্বিপাক্ষিক বৈরিতা দূরে সরাল ইসলামাবাদও। অনেকে বলছেন, আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের। পাকিস্তান থেকে এখনও করোনা-মৃত্যুর খবর না-এলেও, সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা তিরিশ ছুঁইছুঁই।