সিঁড়িতে বসে কেক খাচ্ছেন ডেলিভারি বয়। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা কর্মীরা যেমন সামনে থেকে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন, তেমন তাঁদের নানান ভাবে সাহায্য করছেন আরও কিছু মানুষ। যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডেলিভারি বয়রা। যাঁরা ঘরবন্দি মানুষদের কাছে ওষুধ, প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের কাছেও পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। চিনের কিছু জায়গায়, যেখানে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমছে, সেখানে এবার মানুষ এই লড়াইয়ের সৈনিকদের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টা করছেন। এমনই এক ছবি ভেসে এল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যেখান থেকে এই অতিমারির শুরু সেই চিনের উহানে ধরা পড়ল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এমন এক দৃশ্য। নজরদারি ক্যামেরায় ধরা একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ধারে একটি সিঁড়িতে বসে জন্মদিনের কেক খাচ্ছেন এক ডেলিভারি বয়। সেই সঙ্গে চোখের জল মুছে নিচ্ছেন ডান হাত দিয়ে।
সংবাদপত্র চায়না ডেলি জানিয়েছে, এই ডেলিভারি বয় দোকানে যান অর্ডার তুলতে। কিন্তু গিয়ে দেখেন, সেই অর্ডার তাঁর নামেই। কোনও এক ক্রেতা ওই ডেলিভারি বয়ের নামেই একটি অর্ডার বুক করেছেন। আর সেই অর্ডারে ছিল একটি বার্থডে কেক। পরে যা তিনি সিঁড়িতে বসেই খেয়ে নেন।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশীদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় চোখে জল চিকিৎসা কর্মীর
ঘটনাটি ১৫ এপ্রিলের বলে জানিয়েছে চায়না ডেলি। সেদিনই ওই ডেলিভারি বয়ের জন্মদিন ছিল। সেটা জেনে কেউ তাঁর নামে এই কেক আর্ডার করেছিলেন। কে অর্ডার করেছিলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। মানুষের এমন ভালবাসা পেয়ে ডেলিভারি বয়ও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। সবাইকে লুকিয়ে চোখের জল মুছে নিলেও নজরদারি ক্যামেরায় তা ধরা পড়ে যায়। পরে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: মুদিখানার বাজার করতে গিয়ে বউ নিয়ে এল ছেলে, মানতে চাইছেন না মা
চায়না ডেলি আরও জানিয়েছে, অনেক ক্রেতাই কঠিন এই সময়ে ডেলিভারি বয়দের ধন্যবাদ জানানোর চেষ্টা করছেন। ভালবাসার সঙ্গে ডেলিভারি বয়দের কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন এই কঠিন সময়ে রাস্তায় নেমে সবার পাশে থাকার জন্য।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)