— ছবি সংগৃহীত
ধু ধু করছে সুপার মার্কেটগুলি। পরের পর তাক ফাঁকা! শুধু যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব তাই-ই নয়, কর্মী সঙ্কটের জেরেও এখন ধুঁকছে ব্রিটেনের অধিকাংশ বাজার।
‘পিংডেমিক’— অতিমারির তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন তৈরি হওয়া এই নয়া অচলাবস্থাকে এই নামই দিয়েছে ব্রিটেনের সংবাদপত্রগুলি। নিয়ম মতো, তাদের কোভিড অ্যাপে ‘পিং’ করে বাসিন্দাদের নিভৃতবাসে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সে দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী এনএইচএস। মূলত কোভিড আক্রান্ত হলে বা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেই এই অ্যাপের তরফে মেসেজ পান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। সম্প্রতি তা গিয়েছে ব্রিটেনের একটি বড় অংশের কাছে। যার মধ্যে অধিকাংশই এই সুপার মার্কেটগুলির কর্মী। তা ছাড়া, রয়েছেন পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত লরি বা ট্রাক চালকেরাও। মেসেজ পেলে দিন দশকের জন্য নিভৃতবাসে যেতে হচ্ছে তাঁদের সকলকে।
চলতি সপ্তাহ থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশাসন। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সত্যি করে এর পর থেকেই দ্রুত গতিতে বেড়েছে সংক্রমণ এবং সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসার সংখ্যাও। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সুপার মার্কেটে কর্মরতদের উপরেই। খুব সম্প্রতি এখানকার এক জনপ্রিয় সুপার মার্কেটের হাজার জন কর্মীকেই নিভৃতবাসে যেতে হয়েছে। যার মধ্যে ২৭% সংক্রমিত। আর ‘সংস্পর্শে আসার জন্য’ নিভৃতবাসে গিয়েছেন ৬৪%!
অচলাবস্থা কাটাতে গত কাল থেকে সুপার মার্কেট কর্মীদের নিভৃতবাসে যাওয়ার নিয়ম থেকে বাদ রাখার দাবি জোরাল হচ্ছে ব্রিটেনে। কর্তৃপক্ষের দাবি, যে সব কর্মীর প্রতিষেধকের দু’টো ডোজ়ই নেওয়া আছে কিংবা যাঁদের নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করানো হয়, তাঁদের অন্তত এই ১০ দিনের নিভৃতবাসের নিয়ম থেকে বাদ রাখা হোক। যদিও তা মানতে নারাজ প্রশাসন। তাদের মতে, নিয়মের নড়চড় সম্ভব নয়।
যদিও এই সপ্তাহের গোড়াতেই সরকার ঘোষণা করেছিল যে, সংক্রমিতের সংস্পর্শে এলেও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ‘সীমিত সংখ্যক’ কর্মীদের নিভৃতবাসে যেতে হবে না। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরিস জানান, সংক্রমণ রুখতে এই ছাড় আর বাড়ানো যাবে না। অন্তত ১৬ অগস্ট পর্যন্ত নিভৃতবাসের কড়াকড়ি চলবে। তার পর থেকে হয়তো ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া থাকলে নিয়মিত কোভিড পরীক্ষা করার শর্তে নিভৃতবাসে যাওয়া থেকে ছাড় দেওয়া হতে পারে।