ছবি: রয়টার্স
কমেছে সংক্রমণ। বিশ্ববাসীকে আজ এমনই সুখবর দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তারা জানিয়েছে, ১৭ থেকে ২৩ মে, এই এক সপ্তাহে গোটা বিশ্বে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ লক্ষ। যা তার আগের সপ্তাহ থেকে প্রায় ১৪ শতাংশ কম। মৃতের
সংখ্যাও কমেছে। এই সাত দিনে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ হাজার মানুষের। আগের সপ্তাহ থেকে যা ২ শতাংশ কম।
তবে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমলেও পরিস্থিতি মোটের উপর ভয়েরই। বারবার এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে হু। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘গত চার সপ্তাহে গোটা বিশ্বেই সংক্রমণ কমার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। কিন্তু তাতেও সংখ্যাটা কম বিপজ্জনক নয়। এবং কিছু দেশে পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। যেমন ভারত।’’
গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ সংক্রমিত ভারতে (১৮,৪৬,০৫৫— আগের সপ্তাহ থেকে ২৩ শতাংশ কম)। দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল (৪,৫১,৪২৪— ৩ শতাংশ বেশি), তৃতীয় আর্জেন্টিনা (২,১৩,০৪৬— ৪১ শতাংশ বেশি), চতুর্থ আমেরিকা (১,৮৮,৪১০— ২০ শতাংশ কম) এবং কলম্বিয়া (১,০৭,৫৯০— ৭ শতাংশ কম)। মূলত চারটি স্ট্রেন (ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবীতে। ব্রিটেন স্ট্রেন (বি.১.১.৭), দক্ষিণ আফ্রিকা (বি.১.৩৫১), ব্রাজিল (পি.১) এবং ভারতীয় স্ট্রেন (বি.১.৬১৭)। ব্রিটেন স্ট্রেন মিলেছে ১৪৯টি দেশে, বি.১.৩৫১ স্ট্রেন মিলেছে ১০২টি দেশে। পি.১ মিলেছে ৫৯টি দেশে।
ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হু। তারা জানাচ্ছে, কেন্ট স্ট্রেনে যে গতিতে সংক্রমণ ঘটেছিল, তার থেকেও বেশি গতিতে ব্রিটেনে ছড়াচ্ছে ভারতীয় স্ট্রেন (বি.১.৬১৭)। হু-র বক্তব্য, ‘‘ভাইরাসের বদল ঘটবেই। যত বেশি সংক্রমণ ঘটবে, তত বিবর্তন ঘটবে এর।’’ ভারতে প্রথম চিহ্নিত বি.১.৬১৭ স্ট্রেনটি এ পর্যন্ত পৃথিবীর অন্তত ৫৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ এ কথা জানিয়েছে হু।