ফ্লরিডা কাণ্ডের তদন্তে এ বার উঠে এল নতুন তথ্য। গত ১৪ তারিখ ফ্লরিডার পার্কল্যান্ডের মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে বন্দুক হাতে তাণ্ডব চালিয়েছিল স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র নিকোলাস ক্রুজ। পড়ুয়া-শিক্ষক মিলে নিহত হন ১৭ জন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ব্রোয়ার্ড কাউন্টির শেরিফ স্কট ইজরায়েল জানিয়েছেন, ওই স্কুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার সে দিন ওই বন্দুকবাজকে আটকাতে স্কুলের ভিতরেই ঢোকেননি।
স্কট পিটারসন নামে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরিফ। তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। শেরিফের বক্তব্য, ‘‘সে দিন টানা ছ’মিনিট ধরে গুলি চালিয়েছিল বন্দুকবাজ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসার পিটারসন কেন তখন স্কুলের মধ্যে ঢুকে বন্দুকবাজকে আটকানোর বা মেরে ফেলার চেষ্টা করেননি তা তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। আটকে দেওয়া হয়েছে তাঁর বেতনও।’’ সাসপেন্ড করার পরে অবশ্য পদত্যাগ করেন ওই অফিসার। সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি পিটারসন। তবে সে দিন পেট ব্যথা হচ্ছিল বলে পিটারসন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন। যা শুনে শেরিফের বক্তব্য, ‘‘ওঁরা নিজেদের সন্তানদের হারিয়েছেন। এই শোকের কোনও ভাষা নেই।’’
এ দিকে, গত দু’দিন ধরে অস্ত্র আইনে রাশ টানা নিয়ে একের পর এক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ফের টুইট করে তিনি বন্দুক কেনার বয়ঃসীমা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি জানি এনআরএ (ন্যাশনাল রাইফ্ল অ্যাসোসিয়েশন) এবং কংগ্রেস আমায় নিশ্চয়ই সমর্থন করবে।’’ সেই সঙ্গে অ্যাসল্ট রাইফেল যাতে দেশের সকলে কিনতে না পারে, তার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।