মুক্তির আনন্দে ওয়া লোনে ও কায় সো ও। ছবি এএফপি।
মায়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রতিবেদন লেখার জন্য শাস্তির মুখে পড়া রয়টার্সের দুই সাংবাদিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০০ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর মুক্তি পেলেন ওই দুই সাংবাদিক। সে দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ত তাঁর সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুক্তি দিচ্ছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের। তারই অঙ্গ হিসাবে মুক্তি পেলেন ওই দুই সাংবাদিক।
মুক্তি পাওয়া ওই দুই সাংবাদিকের নাম ওয়া লোনে ও কায় সো ও। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরার জন্যই ওই দু’জনকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল বলে আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা। কিন্তু মায়ানমার সরকারের দাবি, ওই দুই সাংবাদিকের কাছে এমন কিছু সরকারি নথিপত্র ছিল যা সরকারের গোপনীয়তাকে খর্ব করেছে। এই অপরাধে ২০১৭-র ডিসেম্বর থেকে বন্দি করা হয়েছিল লোনে ও সো-কে। দেওয়া হয়েছিল সাত বছরের কারাদণ্ড। সেই সাজা থেকেই এ দিন মুক্তি পেলেন তাঁরা।
মুক্তি পাওয়ার পর ইয়াঙ্গনের কুখ্যাত ইনসেন কারাগার থেকে বের হলে তাঁদের ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন অ্যাডলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘মায়ানমার আমাদের সাহসী সাংবাদিকদের কারামুক্ত করায় দারুণ খুশি হয়েছি। ৫১১ দিন ধরে কারাবাস করা এই দুই সাংবাদিক সারা বিশ্বে গণমাধ্যম স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাঁদের ফিরে আসাকে আমরা স্বাগত জানাই।’’
জেল থেকে বেরনোর পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘পরিবারের লোকজন ও সহকর্মীদের দেখার জন্য আমি উদগ্রীব। নিউজরুমে ফেরার জন্য আমার আর তর সইছে না।’’
রোহিঙ্গা সঙ্কটের সময় রিপোর্টিংয়ের জন্য এ বছর পুলিৎজার পুরস্কারও পেয়েছিলেন ওই দুই সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মুখোশ পরে দোকান লুট করল ডাকাত