রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতুনের সঙ্গে বৈঠক করতে মস্কো গেলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত। এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরিবর্ত খোঁজার কাজ শুরু করেছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনের এক গোয়েন্দা আধিকারিকের এই দাবি ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু, হত্যা ও শিশু-নির্যাতনের ‘অপরাধে’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত (আইসিসি)। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে মস্কো গেলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ২০ মার্চ দুপুরে চিনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছেন। অন্য দিকে, জিনপিং মস্কোয় যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্রেমলিন জানাচ্ছে, মস্কোর বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু হবে যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেনের সঙ্ঘাত সমাধানে চিনের বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে। তাই নিয়ে বৈঠক করবেন দু’দেশের প্রধান। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার অবস্থান জানাবেন পুতিন। উল্লেখ্য, কোনও দেশের প্রধান হিসেবে জিনপিংই প্রথম যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালতের ঘোষণার পর পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে তাঁরই দেশে গেলেন। চিনের প্রেসিডেন্ট মস্কোয় পা দেওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক আদালতের ঘোষণাকে আবারও কটাক্ষ করেছে মস্কো। পাশাপাশি, ইউক্রেন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা হচ্ছে বলে আমেরিকাকে দায়ী করেছে পুতিন প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পুতিন ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেন। পরে যা যুদ্ধের রূপ নেয়। এক বছর পেরিয়ে গিয়েও সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। এর সরাসরি প্রভাব এসে পড়েছে রাশিয়ার অর্থনীতিতে। অন্য দিকে, ওই যুদ্ধে হত্যা এবং শিশু-নির্যাতনের ‘অপরাধে’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। রাশিয়া অবশ্য গোটা বিষয়টিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ওই কোর্টকে তারা মানে না। রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ আইসিসি-র রায়কে ‘টয়লেট পেপারের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।