তিব্বতে অস্ত্র বাড়াচ্ছে চিন

ডোকা লা-য় প্রায় এক মাস ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’দেশের সেনারা। তার মধ্যেই চিনা সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে সে দেশের সরকারি স‌ংবাদমাধ্যমে। সম্প্রতি চিনা সরকারি চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। তাতে বড় সামরিক মহড়া করতে দেখা গিয়েছে চিনা সেনাকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

তিব্বতে বড় ধরনের মহড়ার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল কয়েক দিন আগে। এ বার চিনা সেনা

Advertisement

উত্তর তিব্বতে বেশ কিছু গাড়ি ও অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করেছে বলে দাবি করল তাদের মুখপত্র। সিকিম সীমান্তের ডোকা-লা-য় ভারতের সঙ্গে টানাপড়েনের জেরে বেজিং এ ভাবে চাপ বাড়াতে চাইছে, ধারণা সেনার।

ডোকা লা-য় প্রায় এক মাস ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’দেশের সেনারা। তার মধ্যেই চিনা সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে সে দেশের সরকারি স‌ংবাদমাধ্যমে। সম্প্রতি চিনা সরকারি চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। তাতে বড় সামরিক মহড়া করতে দেখা গিয়েছে চিনা সেনাকে। সরকারি চ্যানেলটির দাবি, তিব্বতের মালভূমিতে ৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ১১ ঘণ্টা ধরে ওই মহড়া চালিয়েছে সেনা। তাতে তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে।

Advertisement

আজ আবার চিনা সেনার মুখপত্র দাবি করেছে, উত্তর তিব্বতের কুনলুন পর্বতের দক্ষিণে একটি এলাকায় বেশ কিছু গাড়ি ও অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে সেনা। রেল ও সড়ক পথে অত্যন্ত দ্রুত ওই সব অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো গিয়েছে বলেও দাবি সেনা মুখপত্রের। তারা জানিয়েছে, সরঞ্জাম পরিবহণের দায়িত্বে ছিল চিনা সেনার ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ড। ওই কম্যান্ডই তিব্বত ও জঙ্গি অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ করে। চিনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ওয়াং ডেহুয়ার মতে, ‘‘সামরিক অভিযানে উপকরণ পরিবহণের ব্যবস্থা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বোঝা যাচ্ছে তিব্বতে পরিবহণের ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত।’’

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন গোপনে কথা! তোলপাড় বিশ্ব

ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, সেনা মহড়ার সময়েই কুনলুনের কাছে ওই অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হয়েছে। তা সহজেই সিকিম সীমান্তে নাথু লা-র কাছে নিয়ে আসা যাবে। তাই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য যে ভারত, তা নিয়ে সন্দেহ নেই দিল্লির।

ঘরোয়া আলোচনায় ভারতীয় সেনা অফিসারেরা জানিয়েছেন, তিব্বতে চিনা সেনার ৭-৮টি শিবির আছে। সাধারণত সীমান্তের কাছে মহড়া হলে প্রতিবেশী দেশকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ডোকা লা-র পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে চিনা সেনার গতিবিধি সম্পর্কে আরও সতর্ক হয়েছে ভারত। সেনার দাবি, ডোকা লা-য় কৌশলগত ভাবে সুবিধেজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত। তাই অন্যান্য সেক্টরে গতিবিধি বাড়িয়ে চাপ দিতে চাইছে চিন। প্রয়োজনে ভারতও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement