hou yanqi

নেপালকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে নজর কাড়ছেন এই চিনা রাষ্ট্রদূত

নেপালবাসীর শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে যায় হৌ-এর টুইটার হ্যান্ডল। প্রসঙ্গত নেপালের পর্যটন শিল্প অনেকটাই নির্ভর করে চিনের উপর। করোনা আবহের আগে প্রতি বছর নেপালে বেড়াতে আসতেন অসংখ্য চিনা পর্যটক।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৯:০০
Share:
০১ ১১

খাতায়কলমে তিনি নেপালে চিনের রাষ্ট্রদূত। কিন্তু সে কূটনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে অন্য রূপে ধরা দিয়েছেন হৌ ইয়াঙ্কি। তিনি নেপালকে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে তুলে ধরতে মরিয়া।

০২ ১১

এ বছরের গোড়ায়, তখনও করোনাত্রাস গ্রাস করেনি বিশ্বকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে একগুচ্ছ ছবি দিয়েছিলেন হৌ। নেপালিকন্যার সাজে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অনন্যা। ছবির সঙ্গে তাঁর আবেদন ছিল, হিমালয়ের পাদদেশে নেপালে আরও বেশি করে বেড়াতে আসার জন্য।

Advertisement
০৩ ১১

হৌ-এর জন্ম ১৯৭০ সালে, চিনের শাংজি প্রদেশে। কলা বিভাগে স্নাতক হৌ অতীতে চিনের বিদেশমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ অবধি তিনি পাকিস্তানের চিন দূতাবাসের উচ্চপদস্থ পদে ছিলেন।

০৪ ১১

শুধু এশীয় দেশগুলিতেই নয়। এক সন্তানের মা হৌ এর আগে লস অ্যাঞ্জেলসের কনসাল জেনারেলেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। গত দু’বছর ধরে তাঁর কাজের জায়গা নেপাল।

০৫ ১১

টুইটারে রাষ্ট্রদূত হৌ লেখেন, ‘নেপালের সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ইতিহাস, প্রকৃতি এবং বৈচিত্রে ভরা নেপাল ভ্রমণপিপাসুদের পা পড়ার অপেক্ষায়।’ নিজের টুইটে তিনি ট্যাগ করেন নেপালের পর্যটন মন্ত্রী যোগেশ ভট্টরাইকেও।

০৬ ১১

নেপালবাসীর শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে যায় হৌ-এর টুইটার হ্যান্ডল। প্রসঙ্গত নেপালের পর্যটন শিল্প অনেকটাই নির্ভর করে চিনের উপর। করোনা আবহের আগে প্রতি বছর নেপালে বেড়াতে আসতেন অসংখ্য চিনা পর্যটক।

০৭ ১১

২০২০ বছরটাকে ‘ভিজিট নেপাল ইয়ার’ হিসেবে পালন করবে বলে গত বছরই ঠিক করেছিল নেপাল। কিন্তু করোনাত্রাস সব হিসেব গরমিল করে দেয়।

০৮ ১১

গত বছরই চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং নেপাল সফর করেন। তার পর এক লাফে বেড়ে যায় চিনা পর্যটকের সংখ্যা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম ১০ মাসে চিনের ১ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ বেড়াতে এসেছিলেন নেপালে। অন্যান্য বছরের হিসেবের তুলনায় তা অন্তত সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি।

০৯ ১১

শুধু পর্যটন ক্ষেত্রই নয়। চিন-নেপাল সম্পর্কের অন্য দিকও তুলে ধরেন হৌ ইয়াঙ্কি। বলেছেন, তাঁর দেশ গত চার বছর ধরে নেপালের পরিকাঠামোর উন্নয়নে সাহায্য করছে। তার মধ্যে পর্যটন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

১০ ১১

এ দিকে নেপালের বিতর্কিত নতুন মানচিত্র ঘিরে ফের দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে উত্তাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা কূটনীতিকদের। ওই মানচিত্রে ভারতের লিপুলেখ গিরিপথ, লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানিকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকাকে নেপালের অংশ বলে দাবি করে এসেছে কাঠমান্ডু। নয়া মানচিত্র সে দেশের পার্লামেন্টে পাশ করাতে উদ্যোগী হয়েছে কে পি শর্মা ওলি সরকার।

১১ ১১

সম্প্রতি লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস-মানস সরোবরে যাওয়ার পথ পর্যন্ত একটি রাস্তার উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তার পরেই প্রতিবাদ জানায় প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকার। নতুন মানচিত্র প্রকাশেও উদ্যোগী হয় তারা। নেপালের প্রতিবাদের পিছনে চিনের উস্কানি আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। কিন্তু তার পরে সুর কিছুটা নরম করে বিদেশসচিব স্তরে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল ওলি সরকার। তাতে এখনও রাজি হয়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement