ছবি রয়টার্স।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত প্রায় ৩৪০০ জন। ২০২০ সাল থেকে দেশ জুড়ে এই গতিতে কখনও করোনা বাড়েনি চিনে। ফলে ঘনাচ্ছে উদ্বেগ। প্রশ্ন উঠছে, শি জিনপিং সরকারের ‘কোভিড-শূন্য’ রণকৌশল কি কাজে দিচ্ছে না?
চিনের লক্ষ লক্ষ মানুষের আজকের দিনটা কেটেছে লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে। বস্তুত, গত এক দিনের মধ্যে গোটা চিনে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সারা দেশের অন্তত ১৮টি প্রদেশে ডেল্টা ও ওমিক্রন স্ট্রেনের দাপটে সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছে। শাংহাইয়ে স্কুল বন্ধ। প্রযুক্তি ক্ষেত্রের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শেনঝেন থেকে শুরু করে দেশের উত্তর-পূর্বের একাধিক শহর জুড়ে বলবৎ রয়েছে লকডাউন। উত্তর-পূর্বে সংক্রমণের কেন্দ্র জিলিন শহরে গত কালই আংশিক লকডাউন ছিল। আজ উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ানজি-র প্রায় সাত লক্ষ বাসিন্দাকে সারা দিন ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। আরও অন্তত তিনটি ছোট শহর মার্চের গোড়া থেকেই তালাবন্ধ।
অতিমারির ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েও মোট রোগীর সংখ্যার নিরিখে ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের ক্রমতালিকায় চিন ছিল নব্বইয়ের ঘরে। এখন আরও পিছিয়ে ১২৪ নম্বরে। সেখানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এখনও মাত্র ৭২৩০। ২০১৯ সালের শেষে চিনেই প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। সেই ইস্তক ক্রমাগত লকডাউন, কড়াকড়ি, গণহারে করোনা পরীক্ষা করানোর মতো নানা পদক্ষেপ করে এসেছে চিন। অন্তিম লগ্নে এসে দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড ভাঙল। অশনি সঙ্কেত দেখছে চিন।