প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। (ফাইল চিত্র)
ভারতীয় মন্ত্রীদের আসন্ন মঙ্গোলিয়া এবং জাপান সফরের দিকে সজাগ নজর রাখছে চিন। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, জাপান কিংবা মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে ভারতের উচ্চপর্যায়ের যে বৈঠক হতে চলেছে, তাতে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে হস্তক্ষেপ করতে চায় না চিন। তবে এই বিষয়ে তারা যে কড়া দৃষ্টি রাখছে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে বেজিং।
৮ সেপ্টেম্বর ভারত এবং জাপান এই দুই দেশের মধ্যে বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠক হতে চলেছে। এই বৈঠকে যোগ দিতে টোকিয়ো উড়ে যাওয়ার আগেই মঙ্গোলিয়া সফরে যাওয়ার কথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গোলিয়ার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক বসার কথা রাজনাথের। তার পরদিন মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট উখনাগিন খুরেলসুখের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসার কথা তাঁর। মঙ্গোলিয়ার সর্ববৃহৎ তৈল শোধনাগারের জন্য প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে ভারত। এই শোধনাগারের কেন্দ্রটি চালু হয়ে গেলে ২০২৫ সালের মধ্যে সে দেশের ৭৫ শতাংশ তেলের চাহিদা মেটানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গোলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সংসদের স্পিকারের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রাজনাথের।
ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাপানও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র দেশ। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের প্রভাবকে সীমাবদ্ধ রাখতে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা এই চার দেশ মিলে কোয়াড গড়ে তুলেছে। মঙ্গোলিয়া চিন এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে গেলেও ‘তৃতীয় বন্ধু দেশ’ হিসাবে ভারতকেও আলাদা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলির সুসম্পর্ক রক্ষায় নয়াদিল্লি বিশেষ ভাবে প্রয়াসী। চিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এই প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষিতে ভারত জাপান এবং আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত মিত্রতা আরও বাড়াতে চাইছে, যাতে চিনকে সংযত থাকার বার্তা দেওয়া যায়।