প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত চিন, মায়ানমার

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানায়, গত কয়েক সপ্তাহে বন্যায় গৃহহীন ৮৯ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে বাড়ি ফিরে এলেও ধসের কারণে নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইয়াঙ্গন শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৪
Share:

ঘূর্ণিঝড় লেকিমায় বিধ্বস্ত চিনের একটি গ্রাম। ছবি: এএফপি।

প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে পূর্ব মায়ামনারের একটি গ্রামে মারা গেল ৩৪ জন। শুক্রবার মোন রাজ্যের থায়ে পেয়ার কোন নামে একটি গ্রামে ধস নেমে ধ্বংস হয় ১৬টি বাড়ি ও একটি মঠ। ২২টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত ৪৭।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানায়, গত কয়েক সপ্তাহে বন্যায় গৃহহীন ৮৯ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে বাড়ি ফিরে এলেও ধসের কারণে নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় লেকিমায় পূর্ব চিনে ১৮ জনের মৃত্যু খবর জানিয়েছে সে দেশের জাতীয় টেলিভিশন। নিখোঁজ ১৪। শনিবার ১৮৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় আছড়ে পড়ে ঝেজিয়াংয়ের ওয়েনলিং শহরের উপরে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমে শক্তি হারিয়ে ১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর দিকে সরে যাবে।

Advertisement

সারা দেশে প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। শুধু সাংহাইয়েই সরানো হয়েছে আড়াই লক্ষ মানুষকে। ঝড়ে উপড়ে গিয়েছে অসংখ্য গাছ। লাইন ছিড়ে বহু জায়গায় বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিপর্যয়ের জেরে গত তিন বছরে এই প্রথমবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাংহাই ডিজ়নিল্যান্ড।

শুধু ঝেজিয়াং প্রদেশেই ৩০০টি বিমান বাতিল হয়েছে। বন্ধ নৌকা ও ট্রেন পরিষেবা। সাংহাইয়ে এক লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাইওয়ানের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় লেকিমা। কারও মৃত্যু না হলেও আহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। কয়েক হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাতিল করা হয় ৫০০টি বিমান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement