প্রথমে সুরটা ছিল অনেকটাই চড়া। কিন্তু এখন তিনি কিছুটা নমনীয়।
প্রথমে সরাসরি বলে দিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসলে এ দেশে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করবেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই বক্তব্য নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তা সত্ত্বেও থামানো যায়নি নিউ ইয়র্কের ধনকুবের এই প্রার্থীকে। বিভিন্ন সময়ে প্রচারে ট্রাম্প বলে গিয়েছেছেন, মুসলিমদের মধ্যে অধিকাংশই কট্টরপন্থী। তবে এখন তিনি বলছেন, আমেরিকায় বসবাসকারী মুসলিম, হিন্দু, শিখ এবং অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে চান তিনি।
ট্রাম্পের অতীত মন্তব্যের জেরে যে নেতিবাচক হাওয়া তৈরি হচ্ছিল, তাতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছিলেন ট্রাম্পের পক্ষে নিজের দলেই মনোনয়ন পাওয়া কষ্টকর হবে। খানিকটা সে কারণেই হয়তো ট্রাম্পের এই সুর বদল— এখন মনে করছেন তাঁরা। এখন সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার রক্ষার কথা বলে ক্ষত মেরামতের পাশাপাশিই ট্রাম্প অবশ্য এটাও বলেছেন, কট্টরপন্থী ইসলামের যে গভীর সমস্যা রয়েছে, চিহ্নিত করতে হবে তাকেও।
একটি মার্কিন চ্যানেলের টাউন-হল আলোচনায় ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘মিলওকি-তে শিখ মন্দিরে গুলি চালানোর কথা শুনেছেন? ছ’জন প্রাণ হারিয়েছিলেন সেখানে।’’ প্রশ্নকর্তা উইসকনসিনের ওক ক্রিকে গুরুদ্বারে হামলার ঘটনায় প্রধান তদন্তকারী অফিসার অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ব্রায়ান মার্ফি। তিনি ট্রাম্পকে বলেন, ‘‘আমেরিকায় যত মানুষ মাথা ঢেকে চলেন, তার ৯৯ শতাংশ শিখ ধর্মাবলম্বী, মুসলিম নন। এঁদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে আমাদের কী করা উচিত?’’ তার উত্তরেই ট্রাম্প সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার কথা বলেন।
কিন্তু তার সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা পছন্দ করি বা না করি, কট্টরপন্থী ইসলাম নিয়ে গভীর সমস্যা আছে। আর আমাদের প্রেসিডেন্ট এ সব নিয়ে কিছুই বলেন না।’’ এর পরে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কট্টরপন্থা নিয়ে কথা বলতেই হবে। এটা নিয়ে আলোচনা না করলে সমাধান হবে না। মুছে দিতে হবে আইএসকে।’’ প্রসঙ্গক্রমে ট্রাম্প পাকিস্তানের কথাও বলেন— ‘‘পাকিস্তান একটা গুরুতর চিন্তার বিষয়। কারণ ওদের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। ওদের পরিস্থিতি ওদেরই সামলাতে হবে।’’