সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই কার্টুনটিই।
দিন পাঁচেক আগে ভাইরাল হয়েছিল ছবিটি। কাদা মাখা জলে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা বাবা-মেয়ে। এল সালভাডর থেকে মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় আশ্রয় খুঁজতে এসেছিলেন তাঁরা। রিয়ো গ্রান্দে নদী পেরিয়ে টেক্সাসে ঢুকবেন ভেবেছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর পারেননি। স্রোত ডুবিয়ে মেরেছিল তাঁদের, তবে আলাদা করতে পারেনি। শরণার্থী সঙ্কটে ফের নয়া প্রশ্ন উস্কে দিয়েছিল ছবিটি।
সেই ছবিই ভাবনায় রসদ জুগিয়েছে কানাডার ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী মাইকেল ডি অ্যাডারকে। তাঁর আঁকা ছবিতে এল সালভাডরের সেই বাবা-মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাতে গল্ফ স্টিক। ট্রাম্প নিথর দেহ দু’টির দিকে তাকিয়ে বলছেন, ‘‘আমি যদি তোমাদের মাঝখান দিয়ে বলটা পাঠাই, তোমরা কি দুঃখ পাবে?’’
এই কার্টুনটিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাইকেল ডি অ্যাডার ফ্রিলান্স কাজ করতেন। তাঁর আঁকা কার্টুনটি টুইটারে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে কানাডার দক্ষিণ-পূর্বে নিউ ব্রান্সউইকে কোনও বড় কাগজই আর তাঁকে দিয়ে কাজ করাতে চাইছে না। যদিও টুইটার এবং ফেসবুকে লক্ষাধিক বার শেয়ার হয়ে গিয়েছে কার্টুনটি। গত ২৬ জুন ছবিটি প্রথম পোস্ট করেন মাইকেল। টুইটারেই তিনি জানিয়েছেন, এর পর থেকে তাঁকে আর কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তার জন্য কোনও কারণ অবশ্য ব্যাখ্যা করা হয়নি।
ট্রাম্পকে বিঁধে তিনি যে এই প্রথম কার্টুন এঁকেছেন, তা নয়। তবু এ ভাবে কেন তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে, বুঝছেন না মাইকেল। ট্রাম্পকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করায় মাইকেলকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না, মানতে নারাজ নিউ ব্রান্সউইকের সংবাদপত্রের একটি গোষ্ঠী। তাঁদের মতে, মাইকেলকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না ঠিকই। তবে তার সঙ্গে ট্রাম্পকে নিয়ে ওই কার্টুনের কোনও সম্পর্ক নেই।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।