US-Canada Tariff War

আমেরিকার শুল্কনীতির বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ কানাডার, ট্রাম্প-ট্রুডোর ফের এক দফা আলোচনার সম্ভাবনা

কানাডার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। ‘পাল্টা’ শুল্কের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কানাডাও। আমেরিকার বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাতেও অভিযোগ জানিয়েছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ২১:৩৭
Share:

(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জাস্টিন ট্রুডো (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার শুল্কনীতির বিরুদ্ধে এ বার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-য় অভিযোগ জানাল কানাডা। কানাডার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, আমেরিকান পণ্যের উপর ‘পাল্টা’ ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই পারস্পরিক শুল্ক বিতর্কের মাঝেই আমেরিকার বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ জানাল কানাডা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আমেরিকার অতিরিক্ত শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে মঙ্গলবার কানাডার থেকে তারা একটি অভিযোগ পেয়েছেন।

Advertisement

আমেরিকার শুল্কনীতি নিয়ে এই বিতর্কের আবহে বুধবার ফের এক দফা আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে সংঘাতের আবহে আলোচনায় বসতে পারেন ট্রাম্প এবং ট্রুডো। সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-ও এমন একটি সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। যদিও হোয়াইট হাউস থেকে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

বস্তুত আমেরিকার শুল্কনীতি ঘিরে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সে দিকে নজর রাখছে গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহল, মঙ্গলবারও ট্রাম্প কানাডার উপর আরও বেশি পরিমাণ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। একই সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গর্ভনর’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। ট্রাম্পের বক্তব্য, মার্কিন পণ্যের উপর ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ আরোপ করা হলে, বাড়বে ‘পারস্পরিক শুল্ক’-এর পরিমাণ!

Advertisement

কানাডার উপর ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ ছিল ফেন্টানাইল। এই মাদকটি ব্যথার উপশমের ক্ষেত্রে মরফিনের তুলনায় বহু গুণ শক্তিশালী। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, কানাডা হয়ে এই মাদক আমেরিকায় প্রবেশ করছে। ট্রুডো যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, আমেরিকায় যত ফেন্টানাইল রয়েছে, তার মাত্র এক শতাংশই কানাডা থেকে গিয়েছে। ফেন্টানাইল নিয়ে ট্রুডো এবং ট্রাম্পের কথাও হয়েছিল এর আগে। ওই আলোচনার পরে কানাডার পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছিলেন ট্রাম্প। এ বার ফের শুল্কযুদ্ধের পরিস্থিতিতে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement