ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। —ফাইল চিত্র।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে জনসমক্ষে ‘পাকি’ বললেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক প্রচারক। সম্প্রতি এক প্রচারে ব্রিটেনের রিফর্ম ইউকে পার্টির এক প্রচারক বলেছেন, ‘‘আমি ভয়ঙ্কর রকমের টোরি (রাজতন্ত্র ঘেঁষা রক্ষণশীলপন্থী)। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোথা থেকে একটা পাকি এসে জুটল কে জানে? কোন কাজটায় ভাল ও!’’
ব্রিটেনে জাতিবিদ্বেষের ইতিহাস নতুন নয়। ইদানীং কিছুটা কমলেও এক সময়ে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার অশ্বেতাঙ্গ মানুষজনকে তাচ্ছিল্যভরে ‘পাকি’ সম্বোধন করা হত। অবমাননাকর এই মন্তব্য নিয়ে এর আগেও বহু বিতর্ক হয়েছে। তবে সেই ব্রিটেনেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি। কিন্তু তার পরেও যে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলায়নি তার প্রমাণ এই ঘটনা। ব্রিটেনের একটি টিভি চ্যানেলের একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ঋষিকে তাঁর দুই কন্যা কৃষ্ণা এবং অনুষ্কার সামনেই ‘পাকি’ বলে সম্বোধন করছেন রিফর্ম ইউকে পার্টির প্রচারক অ্যান্ড্রু পার্কার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ঋষি বলেন, ‘‘আমি ক্রুদ্ধ এবং আহত। কিন্তু এই নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। তবে এটুকু বলব, রিফর্ম ইউকে দলের প্রার্থী এবং প্রচারকেরা নিয়মিত যে জাতিবিদ্বেষী এবং মহিলাবিদ্বেষী মন্তব্য করে চলেছেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় তাঁরা আসলে কী রকম। যাঁরা ব্রিটেনের রিফর্ম বা সংস্কার করতে চাইছেন, তাঁদের সংস্কৃতি কী রকম।’’
রিফর্ম ইউকের নেতা নাইজেল ফারাজে অবশ্য এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দল বা তিনি এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন না। বরং এই মন্তব্যে তিনি নিজেও ব্যথিত। বিরক্ত নাইজেল এ-ও বলেন, কিছু মানুষ জেনেবুঝে তাঁর দলের সম্মান নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। অন্য দিকে, এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্ড্রু বলেছেন, তিনি কথাচ্ছলেই ওই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি একেবারেই জাতিবিদ্বেষী নই। এমনকি, একসময়ে আমার এক জন মুসলিম প্রেমিকাও ছিলেন।’’