এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে বসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে পাশের চেয়ারেই বসে তাঁর স্ত্রী ক্যারি। তাঁদের সামনের চেয়ারে আরও দুই ব্যক্তি বসা। কারও মুখেই মাস্ক নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী-সহ সবাই তখন সামনের টেবলে রাখা ওয়াইন আর চিজ় খেতে ব্যস্ত। একটি প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিকে প্রকাশিত এই ছবিই আপাতত বরিসের অস্বস্তির নতুন কারণ। ওই ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছে, একটু দূরেই বাগানে আরও ডজনখানেক ব্যক্তি উপস্থিত। তাঁরাও সকলে দাঁড়িয়ে সামনের টেবলে রাখা ওয়াইন খেতে ব্যস্ত।
সময়টা গত বছরের মে মাস। গোটা ব্রিটেন জুড়ে তখন কড়া লকডাউন বিধি জারি। অথচ খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজের বাড়িতে ওয়াইন পার্টি করছেন দেখে ক্ষুব্ধ দেশের আমজনতা। এমনিতেই গত বছর বড়দিনের সময়ে বিধি ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে কিছু আধিকারিক পার্টি করেছিলেন বলে একটি ভিডিয়োতে মশকরা করেছিলেন বরিসের কিছু ঘনিষ্ঠ আধিকারিক। পরে ভিডিয়োটি নিছক মজার ছলে তোলা বলা হলেও দেশের নাগরিকদের একাংশ মনে করছেন, গত বার তাঁদের বঞ্চিত করে সত্যিই পার্টিতে মত্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা। এ বছরও ওমিক্রন-আতঙ্কে বড়দিনের উৎসবে কোপ পড়তে চলেছে ব্রিটেনে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে নতুন কোভিড বিধি সংক্রান্ত বিল আনতে গিয়ে নিজের দলের এমপি-দের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল বরিসকে। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এমনিতেই বেশ বেকায়দায়। তার উপরে খোদ প্রধানমন্ত্রীর ওয়াইন খাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই এ নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করায় আসরে নামতে হয়েছে ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাবকে। তিনি রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘ওই সময়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে কোনও পার্টি চলছিল না। প্রধানমন্ত্রী কিছু সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে একটি বৈঠক সারছিলেন। সেই ফাঁকেই ওয়াইন আর চিজ় আনা হয়।’’ বরিসের স্ত্রী সেই সরকারি বৈঠকে কী করছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। রাব তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। জানিয়েছেন, নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে ক্যারি জনসন সেই সময়ে স্বামীর সঙ্গে কিছু ক্ষণের জন্য দেখা করতে এসেছিলেন। পার্টির কোনও প্রশ্নই ছিল না।