আফ্রিকা থেকে শরণার্থী পাচার রুখতে দক্ষিণ ইজিয়ান সমুদ্রে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ন্যাটো। কিন্তু তাতে যে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না, তা ফের প্রমাণিত হল বৃহস্পতিবার। গ্রিক দ্বীপ ক্রেট থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ৭০০ শরণার্থী নিয়ে ডুবে গেল নৌকা। ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। ৩৪০ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ এখনও শতাধিক। শুক্রবার উপকূল রক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র নিকোস লাগাডিয়ানস এ কথা জানান।
তবে কোথা থেকে রওনা দিয়ে নৌকাটি কোথায় যাচ্ছিল তা জানা যায়নি। জানা যায়নি নৌকায় থাকা সমস্ত শরণার্থীর নাগরিকত্বও। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আফ্রিকা থেকেই তা রওনা দিয়েছিল। নিকোস জানান, ঘটনাস্থল দিয়ে একটি যাত্রিবাহী জাহাজ যেতে গিয়ে ডুবন্ত নৌকাটি দেখতে পায়। ২৫ ফুট লম্বা নৌকাটির প্রায় অর্ধেকের বেশি তখন জলের তলায়। বাকি অংশটি আঁকড়ে ধরে প্রাণপণে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন শরণার্থীরা। পৌঁছে যায় উপকূলরক্ষী বাহিনীও। উদ্ধারকাজে লাগানো হয় একটি বিমান ও কপ্টার।
এ দিনই জোয়ারা শহরে ১০৪টি দেহ ভেসে এসেছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার নৌবাহিনী। বাহিনীর মুখপাত্র আউব কায়েম বলেন, ‘‘গত সন্ধ্যায় দেহগুলি মিলেছে। তাঁরা শরণার্থী বলে আমরা নিশ্চিত। তবে ক্রেটের কাছে যে নৌকাডুবি হয়েছে, এঁরা তাতে ছিলেন না। আর কোনও নৌকা দুর্ঘটনায় পড়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে।’’
শরণার্থী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা এক সপ্তাহে এই দ্বিতীয় বার। দিন কয়েক আগেও শরণার্থীদের ৩টি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। তাতে ৭০০ জনেরও বেশি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। তার পরেই এই ঘটনা। মঙ্গলবার একটি মার্কিন সংস্থা জানায়, জানুয়ারি থেকে এখনও বিপজ্জনক ভাবে ইউরোপ পৌঁছনোর চেষ্টা করেছেন ২ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আড়াই হাজারের বেশির। গত সপ্তাহেই ১৩ হাজার শরণার্থীর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০০।