প্রতীকী ছবি।
এ বার চিনকে হুঁশিয়ারি ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের। বেনজির ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে উইঘুর-ভাষী আইএস জঙ্গিদের হুমকি, ‘চিনে এ বার নদীর স্রোতের মতো রক্ত বইবে।’ পশ্চিম চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলের আদি বাসিন্দা উইঘুর জাতি। ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী উইঘুররা মুসলিম। কিন্তু কমিউনিস্ট চিনে স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকার না থাকায় উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চিনা প্রশাসনের সঙ্ঘাত দীর্ঘ দিনের। এই উইঘুরদের মধ্যে যারা চিনি ছেড়ে পালিয়ে আইএস-এ যোগ দিয়েছে, তারাই এ বার মধ্য এশিয়া থেকে চিনে ফিরে কমিউনিস্ট সরকারকে শিক্ষা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছে।
চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ দীর্ঘ দিন ধরেই অশান্ত। সেখানে নাশকতামূলক কার্যকলাপ লেগেই থাকে। চিনা প্রশাসন বার বারই উইঘুর জঙ্গিদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। কিন্তু সে সব অভিযোগ এত দিন ছিল উইঘুরদের নিজস্ব জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে। আইএস-ও যে নিজেকে এই লড়াইয়ে জড়িয়ে নিয়েছে, তা এত দিন বোঝা যায়নি। সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আইএস। সেই ভিডিওয় এক উইঘুর-ভাষী জঙ্গি চিনা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘‘আমরা খলিফার সৈনিক। আমরা তোমাদের কাছে আসছি অস্ত্রের ভাষায় কথা বলার জন্য, নদীর স্রোতের মতো রক্ত বইয়ে দেওয়ার জন্য এবং অত্যাচারিতদের হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।’’ চিনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ উইঘুরদের হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার কথাই যে ভিডিওটিতে বলা হয়েছে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সংশয় নেই।
উইঘুর অঞ্চলে বাহিনী বাড়াচ্ছে চিন। ছবি: এএফপি।
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা ‘সাইট’ এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এনেছে। এর আগে কখনও দেখা যায়নি যে আইএস চিনকে হুমকি দিচ্ছে। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। তাই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বিষয়টিকে বেনজির বলেই মনে করছেন। বেজিং জঙ্গি কার্যকলাপ রোধে আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আইএস যে ভাবে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে চিনের দিকে এবং যে ভাবে সংগঠনটি উইঘুরদের লড়াইকে নিজেদের লড়াই হিসেবে দেখার ইঙ্গিত দিয়েছে, তাতে বেজিং-এর উদ্বেগ বাড়তে বাধ্য।
আরও পড়ুন: পালাও নয় তো মরো! ইরাকে হার মেনে যোদ্ধাদের বার্তা বাগদাদির