বালুচিস্তানে জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়েছে। ছবি: এক্স।
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের এক দিন আগে জোড়া বিস্ফোরণ। অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি। আহতের সংখ্যা আরও অনেক। বালুচিস্তানের পিশিন জেলায় এক নির্দল প্রার্থীর দফতরকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা করা হয়েছে। পর পর দু’বার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে বালুচিস্তান। প্রথম হামলাতেই অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন ৩০-এর বেশি। তার কিছু ক্ষণ পরে আরও একটি হামলার খবর পাওয়া যায় সেই বালুচিস্তানেই। দ্বিতীয় হামলার স্থান কিল্লা সইফুল্লা জেলার জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম ফজ়লের দফতরের সামনে। উভয় হামলার ক্ষেত্রেই লক্ষ্য ছিল নির্বাচনী প্রার্থীদের দফতর।
পিশিনে এনএ-২৬৫ আসনে লড়ছেন নির্দল প্রার্থী আসফান্দ ইয়ার খান কাকর। তাঁর দফতরের ঠিক সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ করা হয়। অন্তত ৪০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতেরা বেশিরভাগই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
কিল্লা সইফুল্লার দ্বিতীয় হামলাটিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সেখানেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না।
জিও টিভি জানিয়েছে, বুধবারের এই বিস্ফোরণের পর পিশিনের গোটা এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে যে নির্দল প্রার্থীর দফতরে হামলা, তিনি সেই সময়ে দফতরে উপস্থিত ছিলেন না।
ঘটনার পর বালুচিস্তানের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেলের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
পিশিনের নির্দল প্রার্থী কাকর জানিয়েছেন, তাঁর দফতরের বাইরে দাঁড়ানো একটি মোটরসাইকেল থেকে বিস্ফোরণটি হয়। তাঁর দলের আট কর্মী ঘটনাস্থলেই শহিদ হয়েছেন। ওই সময়ে দফতরে পোলিং এজেন্টের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছিল।
বালুচিস্তানের এক মন্ত্রী জান আচাকজ়াই জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলের মধ্যে বিস্ফোরক রাখা ছিল। আরও বিশদে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বালুচিস্তানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।