ফাইল চিত্র।
প্রতি বছর প্রায় তিন হাজার ৭০০ পেট্রেল সামুদ্রিক পাখি খেয়ে ফেলছে বিছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস-এর গবেষকরা এমনই দাবি করলেন।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নরফক দ্বীপের ছ’কিলোমিটার দক্ষিণে ফিলিপ দ্বীপের এমন ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন গবেষকরা। ওই দ্বীপে প্রচুর পেট্রেল পাখির বাস। গবেষকরা জানিয়েছেন, ফিলিপ দ্বীপের ওই বিছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কর্মোসিফেলাস কয়েনেই। এক একটি বিছের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বা ১২ ইঞ্চির মতো। প্রথমে এরা শিকারকে ভয়ানক বিষের মাধ্যমে নিস্তেজ করে দেয়। তার পর সেটিকে খায়।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই বিছেকে মূলত পেট্রেল পাখির বাসার কাছেই দেখা গিয়েছে। পেট্রেল পাখির বাচ্চাগুলির গায়ে আঘাতের চিহ্ন থেকে স্পষ্ট যে এই পাখির শিকারি ওই বিছেই। দাবি গবেষেকদের। এক সময় এই বিশালাকৃতির বিছে ফিলিপ দ্বীপ থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছিল। আর তার পর থেকেই ওই দ্বীপকে নিজেদের ঠিকানা বানায় পেট্রেল। কিন্তু পেট্রেল পাখির সংখ্যা কেন কমছে তা সমীক্ষা করতেই প্রকাশ্যে আসে এই বিছের শিকার করার ঘটনা। ‘দ্য কনভারসেশন’-এ গবেষকরা জানিয়েছেন, পেট্রেল পাখির একটি বাচ্চার উপর হামলা চালানো এবং সেটাকে খেয়ে নেওয়ার ঘটনাও তাঁরা চাক্ষুষ করেছেন।
গবেষকরা জানান, এই বিছের খাদ্যতালিকায় রয়েছে মেরুদণ্ডী প্রাণী (৪৮%), অমেরুদণ্ডী প্রাণী (৫২%), পেট্রেল পাখির বাচ্চা (৭.৯%),গেকো, সাপ, সামুদ্রিক মাছ এবং সামুদ্রিক পাখির বিষ্ঠা।