গাজ়ার গন্ডি ছাড়িয়ে যুদ্ধের ভরকেন্দ্র কি এ বার লেবানন? —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পশ্চিম এশিয়ায় ‘শান্তি এবং স্থিতাবস্থা’ ফেরাতে ইজ়রায়েলকে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ পশ্চিমের দেশগুলি। তবে সেই প্রস্তাবকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধে ‘লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানাল তেল আভিভ। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইজ়রায়েলি সেনাকে লেবাননের হিজ়বুল্লা সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘পূর্ণ উদ্যমে’ লড়াই চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নেতানিয়াহুর সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের দেওয়া প্রস্তাবের উত্তর দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী।
গত সোমবার হিজ়বুল্লার ঘাঁটি লেবাননে আকাশপথে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি হামলায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। পাল্টা ইজ়রায়েলে হামলা চালায় হিজ়বুল্লা গোষ্ঠীও। তাদের দাবি, ইজ়রায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ২০০টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই হামলায় কোনও হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও। এই হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনার পরেই আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পশ্চিমী দেশগুলি এবং একাধিক আরব রাষ্ট্র ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আর্জি জানায়। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হিজ়বুল্লার কোনও বক্তব্য জানা না গেলেও এই প্রস্তাব কার্যত উড়িয়ে দিল আমেরিকার ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ ইজ়রায়েল।
গত ১১ মাস ধরে হিজবুল্লা গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে ইজ়রায়েলের। সে দেশে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের সমর্থন জানায় হিজ়বুল্লাও। তার পর থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ফল ভুগছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে এই সংঘর্ষ চলাকালীন একে অপরকে লাগাতার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে লেবানন এবং ইজ়রায়েল। হিজ়বুল্লার হুঁশিয়ারি, যে ভাবে ইজ়রায়েল তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে, তার পরিণতি ভুগতে হবে। ইজ়রায়েলের দাবি, হিজবুল্লাকে তারা নির্মূল করবেই।